Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২৯ সালেই আবার আসছে সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান!

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২১, ৪:২০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থা ইউনাইটেড ২০২৯ সালের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের জন্য সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান চালু করতে চায়। এ জন্য তারা এমন গতির ১৫টি নতুন বিমান কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিমান দিয়ে তারা ওই সময়ের মধ্যে যাত্রী পরিবহন করতে চায়। এমন বিমান তৈরি করবে ডেনভারভিত্তিক কোম্পানি বুম। তাদের তৈরি করা নতুন এমন সুপারসনিক বিমানের নাম দেয়া হবে ‘ওভারচার’। এটি ম্যাক ১.৭ নামেও পরিচিত। এর আগে সুপারসনিক গতির বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করেছে এয়ার ফ্রান্স এবং বৃটিশ এয়ারওয়েজ। এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করেছে কনকর্ড বিমান।

কিন্তু ২০০৩ সালে ওই বিমানটিকে বসিয়ে রেখে এ যাত্রা ভঙ্গ করা হয়। তারপর আর কোনো সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান আকাশে ওড়েনি। এরপর এমন পরিকল্পনা নিয়েছে ইউনাইটেড।

সুপারসনিক গতির বিমান শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত ভ্রমণ করে। এ সময়ে তা ৬০,০০০ ফুট বা ১৮,৩০০ মিটার উচ্চতা দিয়ে উড়ে যায়। সুপারসনিক বিমানের গতি প্রতি ঘন্টায় ৬৬০ মাইলেরও বেশি । পক্ষান্তরে একটি সাধারণ বিমান ঘন্টায় অতিক্রম করে ৫৬০ মাইল। তবে ওভারচারের গতি ঘন্টায় ১১২২ মাইল বা ১৮০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এই গতিতে লন্ডন থেকে আটলান্টিকের ওপর দিয়ে নিউইর্য়ক যেতে বর্তমানে যে সময় লাগে তার চেয়ে অর্ধেক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুম-এর বক্তব্য অনুযায়ী, তিন ঘন্টা কমিয়ে সাড়ে তিন ঘন্টায় ভ্রমণ করা সম্ভব হবে। এতে তিন ঘন্টা সময় বাঁচবে এ রুটে।

কিন্তু সুপরিসনিক ফ্লাইটের দুইটা প্রধান সমস্যা আছে । শব্দ আর দূষণ। এর গতি এবং শব্দের কারণে গমগম শব্দ হয়। এই শব্দের তীব্রতা এত বেশি যে, তা মাটি থেকে শোনা যায়। মনে হয় কোথাও বিস্ফোরণ হচ্ছে অথবা বজ্রপাত হচ্ছে। এ কারণেই কোম্পানির নাম দেয়া হয়েছে বুম। ভ্রমণের সময়ও এ বিমানের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সমুদ্রের ওপর থাকা পর্যন্ত গতি কমিয়ে রাখতে হয়। এর অতিরিক্ত শব্দের কারণে সাধারণ জনগণের বিরক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুম বলেছে, তারা আত্মবিশ্বাসী যে অন্যান্য আধুনিক যাত্রীবাহী বিমানের থেকে এ বিমান উড্ডয়ন , ভ্রমণ, আর অবতরণের সময় বেশি সহনশীল হবে। আগের থেকে এর নকশায়ও কিছু পরিবর্তন আনা হবে। বিবিসিকে সাক্ষাৎকারে বুম-এর প্রধান কর্মাশিয়াল অফিসার ক্যাথি সাবিট বলেন, সুপারসনিক বিমান চালানোর ক্ষেত্রে বেশি শক্তির প্রয়োজন হবে। জ্বালানি বেশি খরচ হবে। কিন্তু তিনি আশা করেন, এই বিমান থেকে কোন কার্বন নির্গত হবে না।

সুপারসনিক বিমানে মানুষের কতটুকু আগ্রহ থাকবে সে বিষয়ে ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির বেসামরিক বিমান চলাচল ও পরিবেশ বিষয়ক সহযোগী প্রফেজর ড. গাই গ্র্যাটন বলেন, ধনীরা এখনও ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বিমানে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। ৫০ বছর আগে বয়্যবহুল হওয়া সত্ত্বেও কনকর্ড জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সাবিট বলেন, বুমের গবেষণা থেকে দেখা গেছে যাত্রীরা দ্রুত গতির বিমান পছন্দ করেন । এমন বিমান মানুষের সাথে সম্পর্ককে গভীর করবে । যা ব্যবসায়িক সম্পর্ককেও উন্নত করবে।

সূত্র: বিবিসি



 

Show all comments
  • Dadhack ৫ জুন, ২০২১, ১০:১৩ পিএম says : 0
    May be with in 10 years we will enter stone age.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমান

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ