পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720353715](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে নেমে আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ ‘টিকটকের’ মাধ্যমে প্রথমে তরুণীদের টার্গেট করে। পরে চাকরির প্রলোভনে তাদের বিদেশে পাচার করা হয়। সেখানে নেয়ার পর তাদেরকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে চক্রটি। কুরুচিপূর্ণ ভিডিও বানিয়ে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকশ টিকটকারকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও বানিয়ে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকশ টিকটকারকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে পুলিশের সাইবার ইউনিট। সম্প্রতি ভারতে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনা তদন্তে নেমে এসব টিকটকারকে চিহ্নিত করা হয়।
তিনি বলেন, টিকটকের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই পাচারকেন্দ্রিক অপচেষ্টা শুরু হয়। উঠতি বয়সী কিশোরী-তরুণীদের মডেল বা স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে পাচার করছে একটি চক্র। এজন্য আমরা টিকটককে নেগেটিভলি দেখছি। টিকটক-কেন্দ্রিক অপচেষ্টা বন্ধে আমরা জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পাচারের শিকার ও পাচারকারীরা অবৈধভাবে ভারতে যায়। তাদের কাছে ভিসা-পাসপোর্ট বা কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র থাকে না। এরপর চক্রের ভারতীয়দের সহায়তায় সে দেশের আধার কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। সেই কার্ড ব্যবহার করে তারা ভারতে চলাফেরা করে থাকেন। তদন্তের এ পর্যায়ে আমরা অনেকের নাম পেয়েছি। আরও কিছুদূর অগ্রসর হলে সংখ্যাটি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব।
জানা যায়, টিকটক গ্রুপ খুলে সেখানে পোস্ট করা হতো অশ্লীল ভিডিও। সেই ভিডিওতে যেসব নারী লাইক-কমেন্ট বা শেয়ার করতেন প্রথমে তাদের টার্গেট করা হতো। যারা টার্গেট করতেন তাদের টিকটক আইডিতে লাখ লাখ ফলোয়ার থাকত। পরে দেখানো হতো ভিডিও তৈরি করে টিকটকে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রলোভন।
এদিকে, ভারতে পাচার হওয়ার ৭৭ দিন পর কৌশল দেশে ফিরে হাতিরঝিল থানায় এক কিশোরীর মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনের করা মামলায় গ্রেফতার তিন নারীপাচারকারীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মেহেদি হাসান, মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের।
উল্লেখ্য, ভারতে গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী সম্প্রতি দেশে ফিরে গত ১ জুন হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায়ই তিনজনকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে মেহেদি হাসান ওই কিশোরীসহ এক হাজারের বেশি নারীকে ভারতে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতার অপর দুই আসামি মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের মামলার বাদী ভুক্তভোগীসহ পাঁচশতাধিক নারীকে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি কক্ষে রাখতে সহায়তা করে। ভুক্তভোগী নারীদের মোটরসাইকেলের মাধ্যমে সীমান্তে মানবপাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।