মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গে একুশের ভোটে জেতা বিজেপি বিধায়কদের একাংশ তৃণমূলর পথে! এমনটাই জানা যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভয়াবহ ফলাফলের তদন্ত করা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ২৮০ পাতার একটি গোপন রিপোর্ট ইতোমধ্যেই জমা পড়ছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র টেবিলে। সূত্রের খবর, ভোটে হারের কারণ ওই রিপোর্টে বিশ্লেষণের পর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, আগামীতে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। বিজেপির বিধায়কদের একাংশ তৃণমূলে যোগ দিতে পারে। রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরাডুরি কারণ হিসেবে একাধিক বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে। বেশ কিছু শীর্ষনেতার নামেও ওঠে এসেছে অভিযোগের তীর। বলা হয়েছে, দলবদলুরা যারা বিজেপির হয়ে ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন তারা অধিকাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত ও অজনপ্রিয় নেতা। যা বিজেপির মর্মান্তিক হারের অন্যতম কারণ। বিজেপি নেতাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোটের আগে যেভাবে তারা ক্ষমতায় আসার কথা বলে আস্ফালন করে হুমকি, ধামকি দিয়েছেন তাতে মুসলিম ভোট ব্যাংক ভয়ে তৃণমূলের দিকে চলে যায়। জয় শ্রীরাম ধ্বনিও ব্যাকফুটে নিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বাংলায় রাম প‚জার সেভাবে প্রচলন না থাকার কারণে বাঙালি ভোটারা জয় শ্রীরামের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারেনি। গেরুয়া শিবিরের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে বলা হয়েছে, বাংলার একান্ত নিজস্ব দুর্গা বা কালি পূজার বিষয়টি পাত্তাই দেয়নি বিজেপি। এর পাশাপাশি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভোটের সময় আরএসএস অধিকাংশ এলাকায় নিষ্ক্রিয় ছিল। অনেক অঞ্চলে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির নেতাদের বনিবনা হয়নি। উল্টো তারা সংঘাতে লিপ্ত হয়েছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য পর্যায়ের ৩০ জন শীর্ষ নেতার জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই তালিকায় তৃণমূল থেকে আসা দুই নেতার নামও রয়েছে। পাশাপাশি কড়া সমলোচনা করা হয়েছে জেলা পর্যায়ের নেতাদের একাংশের বিলাসবহুল জীবন নিয়ে। বিজেপির প্রার্থীরা ভোট প্রচারে নির্বাচনি তহবিলের অর্থ ঠিকঠাক ব্যবহার করেননি। এমন অভিযোগও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে ব্যাপক হারে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচার ও সাংগঠনিক কাজে নিয়োগের কারণে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব কমে গেছে। এসব অবাঙালি নেতাদের দিয়ে ভোট প্রচার ভাষার কারণে সাধারণ ভোটাররা ভালোভাবে বুঝতেই পারেনি। প্রচারে লোক টানতে তারকা সমাবেশ করেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ মানুষ সভায় ভিড় করলেও তার ফল ভোট বাক্সে পড়েনি। টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।