Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে বিশ্বাসঘাতকতা হবে: ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২১, ৫:০১ পিএম

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনা ফের উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, এমন উদ্যোগ নেয়া হলে তা হবে কাশ্মীরিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। রোববার একটি টিভি অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইমরান খান বলেন, প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা হলে তা হবে তাদের (কাশ্মীরি) সংগ্রামকে উপেক্ষা করা। কমপক্ষে এক লাখ কাশ্মীরি শহীদ হয়েছেন (তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে)। তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এবং কাশ্মীর সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাকিস্তান যদি এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে, তাহলে তা হবে কাশ্মীরি জনগণের সঙ্গে বিরাট এক বিশ্বাসঘাতকতা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে বাণিজ্যে উন্নতি ঘটবে। কিন্তু তাতে তাদের (কাশ্মীরিদের) রক্ত বৃথা যাবে। তাতো হতে পারে না। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের বাণিজ্যের উন্নতি করবো এটাতো হতে পারে না। অন্য সব সময়ের মতো তিনি ফের জোর দিয়ে বলেন, ভারতশাসিত কাশ্মীরের দীর্ঘদিনের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে দিলেই কেবল নয়া দিল্লির সঙ্গে অচল অবস্থায় থাকা আলোচনা শুরু হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে। এর ফলে স্বায়ত্তশাসন হারায় কাশ্মীর। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের যে অংশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তা সরাসরি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চলে যায়। এরপর সরকার ওই অঞ্চলকে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে ভাগ করে। সঙ্গে সঙ্গে ওই অঞ্চলে কার্যত ভারত লকডাউন করে ফেলে। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করে ইসলামাবাদ। এমনকি নয়া দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনমন করে।

চলতি বছর শুরুতে রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, এই দুটি দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। জানুয়ারিতে এই বৈঠকে আমিরাত মধ্যস্থতা করছিল বলে বলা হয়। গত মাসে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা নিশ্চিত করেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সুস্থ ও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য মধ্যস্থতা হিসেবে তার দেশ কাজ করছে।

ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আকস্মিকভাবে এবং বিরল এক ঘোষণা দেয়। তাতে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলবে তারা। আমিরাতের ঘোষণা এবং মিডিয়ার রিপোর্টের পর এমন ঘোষণায় সবাই আশা করেছিলেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যে বরফ জমে আছে তা হয়তো গলতে শুরু করেছে। তবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ফের স্পষ্ট করে দিলেন ইমরান খান। সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমরান খান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ