প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসের সাথে শুরু থেকেই সম্পৃক্ত বিশিষ্ট অভিনেত্রীকা কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। দেশের সিনেমার ইতিহাসের সাথে তার পরিবার জড়িয়ে আছে। তার ছোট দুই বোন ববিতা ও চম্পা সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী। বাংলাদেশের সিনেমায় সুচন্দা’র অভিষেক হয় ১৯৬৬ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘কাগজের নৌকা’ সিনেমার মাধ্যমে। সময়টা ছিল পাকিস্তানের সিনেমার বিপরীতে বাংলাদেশী সিনেমার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। সেই বছর মুক্তি পেয়েছিলো সালাহ উদ্দিন পরিচালিত ‘রূপবান’ এবং জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’। ‘বেহুলা’তে সূচন্দা’র বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয় নায়করাজ রাজ্জাকের। সিনেমা দুটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের সিনেমার অধ্যায় শুরু হয়। পরবর্তীতে সূচন্দা ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘নয়ন তারা’, ‘আনোয়ারা’, ‘দুই ভাই’, ‘মনের মতো বউ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’,‘ ধীরে বহে মেঘনা’, ‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘গলি থেকে রাজপথ’সহ অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন। জহির রায়হান পরিচালিত ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সুচন্দা প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে। ১৯৭২ সালে মস্কো ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে তিনিই প্রথম বাংলাদেশের পতাকা গর্বের সাথে নিজ হাতে উড়িয়েছিলেন এবং পুরস্কৃত হয়েছিলেন ‘জীবন থেকে নেয়া’তে অভিনয়ের জন্য। তবে সুচন্দা’র দু:খ, তারা অভিনয় করে বাংলাদেশের সিনেমা’কে যেভাবে আন্তর্জাতিক মানে পরিণত করেছিলেন, দর্শকদের হলমুখী করেছিলেন, সেসব দর্শক পরবর্তী সময়ে সিনেমায় অশ্লীলতার কারণে হল বিমুখ হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে সিনেমা ব্যবসায় ধস নেমে আসে যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। সুচন্দা দেশ স্বাধীনের আগেই প্রথম ‘দুই ভাই’ নামের একটি সিনেমা প্রয়োজনা করেন। পরবর্তীতে ‘প্রতিশোধ’ নামের আরো একটি সিনেমা প্রযোজনা করেন। ১৯৮৫ সালে তারই প্রযোজনায় প্রথম তিন বোন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা একই সিনেমায় অভিনয় করেন। মূলত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই এই সিনেমায় তিন বোনের একসঙ্গে অভিনয় করা। অভিনয় জীবনের দীর্ঘ ৫৫ বছরের পথচলা প্রসঙ্গে সূচন্দা বলেন, ‘ছোট্ট এই জীবনে চলার বাঁকে পেয়েছি দর্শকের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, এটাই আসলে জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। করোনা’র এই ক্রান্তিকালে জীবন কোথায় যেন এসে থমকে গেছে। চলচ্চিত্রের সোনালী দিন নিয়ে যখন ভাবি, তখন ভাবনায় চলে আসে বর্তমান চলচ্চিত্রের কথা। আমাদের সময় অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে মেধাবী পরিচালকেরা, অভিনয়শিল্পীরা তাদের সেরা কাজটুকু উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে যে তরুণ পরিচালকরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে তাদের উপরই নির্ভর করছে আমাদের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ। কারণ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যদিয়ে তরুণ নির্মাতারা তাদের ভালোবাসা ও প্রচেষ্টা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো ভালো সিনেমা উপহার দিতে পারবে।’ সুচন্দা সর্বশেষ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’য় ভূষিত হন এবং তার নির্মিত একমাত্র সিনেমা ‘হাজার বছর ধরে’ যাতে অভিনয় করেছিলেন রিয়াজ, শশী, মিলন, শাহনূর এবং সুচন্দা’সহ আরো অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।