মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্য প্রাচ্যে ভাবমর্যাদা সঙ্কটে পড়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এর ফলে আরব দেশগুলিতে অনুমোদনের হার এবং বিজ্ঞাপনের বিক্রি কমে গিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এই সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।
চলতি মাসে ইসরাইল-হামাস সংঘাত চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ভূমিকাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিপন্থী ও বাক-স্বাধীনতা কর্মীদের অভিযোগ, সে সময় সংস্থাটি তার অ্যাপগুলিতে ফিলিস্তিনের কণ্ঠকে অস্বাভাবিকভাবে নিঃশব্দ করে দিয়েছিল - যার মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জেরুজালেমের শেখ জারাহ পাড়া থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের নিন্দা জানিয়ে শত শত পোস্ট মুছে ফেলা, কর্মীদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা এবং ইসলামের অন্যতম পবিত্র মসজিদ সম্পর্কিত একটি হ্যাশট্যাগ সাময়িকভাবে ব্লক করা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফেসবুক জানিয়েছিল এগুলি প্রযুক্তিগত ভুল ছিল।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি রিপোর্ট অনুসারে, ইনস্টাগ্রাম তার সুনাম হারিয়েছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটির অনুমোদনের রেটিং ঐতিহাসিক নীচে নেমে গেছে। রিপোর্টটি লিখেছেন ফেসবুকের দুবাই-ভিত্তিক একজন কর্মচারী। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিয়মিত জরিপ করে। তারা ফলাফলগুলিকে একটি ‘কেয়ারস অ্যাবাউট ইউজারস’ মেট্রিকে রূপান্তরিত করে যা অ্যাপ্লিকেশনগুলির জনপ্রিয়তার পরিমাপ হিসাবে কাজ করে। সর্বশেষ ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব শুরুর পর থেকে, ফেসবুকের মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের ইনস্টাগ্রামের বিশ্বাসযোগ্যতা ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতিহাসের সর্বনিম্নে রয়েছে এবং গবেষণা অনুসারে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট পড়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে কাতার, জর্ডান, ফিলিস্তিন এবং সউদী আরব থেকে।’
ইনস্টাগ্রামের স্কোর পরিমাপ করা হয় ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি বিশ্বের পক্ষে ভাল বলে বিবেচনা করেন কিনা তার ভিত্তিতে। যা ‘গুড ফর ওয়ার্ল্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়। এই অ্যাপটিও এক সপ্তাহে ৫ শতাংশেরও বেশি পয়েন্ট হারিয়ে এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ফেসবুকের ‘কেয়ার অ্যাবাউট ইউজারস’ স্কোর মূলত মিশর, ইরাক, মরক্কো এবং জর্ডানেও অনেক কমে গিয়েছে।
ফিলিস্তিনিপন্থী ও বাক-স্বাধীনতা কর্মীরা অ্যাপল এবং গুগল অ্যাপ স্টোরগুলিতে ফেসবুককে টার্গেট করে একটি প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে তাদের অনুমোদনের রেটিং অনেক কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ পোস্ট অনুসারে, বিষয়টি ফেসবুকের জন্য অভ্যন্তরীণভাবে একটি ‘তীব্রতা ১’ সমস্যা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, যা ‘তীব্রতা ০’ ঘটনার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়, যা ওয়েবসাইটটি ডাউন থাকাকালীন সংরক্ষণ করা হয়।
এ বিষয়ে এক সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ বার্তা বোর্ডের একটি পোস্টে বলেছেন, ‘ব্যবহারকারীরা অনুভব করছেন যে, তাদেরকে সেন্সর করা হচ্ছে, তাদের পোস্ট বিতরণ সীমিত করা হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত নিরব করে দেয়া হবে। ফলস্বরূপ, আমাদের ব্যবহারকারীরা তাদের পর্যালোচনায় ‘১ তারকা’ দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছেন।’ অভ্যন্তরীণ নথিগুলিতে মধ্য প্রাচ্যে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের আয় হ্রাসের কথাও বলা হয়েছে। ফাঁস হয়ে যাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মে মাসের ৭ তারিখের পর থেকে ১০ দিনের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, মরক্কো, সউদী আরব, কুয়েত, কাতার এবং ইরাকে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের আয় কমপক্ষে ১২ শতাংশ কমেছে। সূত্র: এনবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।