বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর রানীনগরে একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, বিজ্ঞ আদালতে দুই আসামির স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান ও লাশ বহনকারী একটি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান-১৯ এপ্রিল রানীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের ধনপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে এলাকাবাসি প্লাষ্টিকের একটি ড্রামের ভিতর অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্তলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠান।
পুলিশ সুপার আরো জানান-এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে রানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে সেই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে নিহত পরিচয় পাওয়া যায়। নিহতের নাম শহীদুল ইসলাম। সে আত্রাই উপজেলার বাউল্ল্যাপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। পরে নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, শহীদুল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে কাকরা ট্রলি কেনার জন্য নওগাঁ শহরে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তার সাথে পরিবারের আর কেউ যোগাযোগ করতে পারে নাই।
তিনি আরো জানান-এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আত্রাই উপজেলার বাজেধনেশ্বর গ্রামের মমতাজ সরদারের ছেলে আলম সরদার (৩৫) ও বাউল্যাপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ ঋতু (২১) এবং মান্দা উপজেলার বড়পই গ্রামের ইয়াছিন দেওয়ানের ছেলে জুয়েল রানা ও বয়েন উদ্দিনের ছেলে বুলবুল হোসেন (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করে ২দিনের রিমান্ডে এনে জিঞ্জাসাবাদে হত্যাকান্ডের কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেই তথ্যর ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর মধ্য পাড়ার আব্দুস সামাদ ছেলে সজিব (২৩) এবং দূর্গাপুর সোনারপাড়া গ্রামের বাহার আলীর ছেলে সোয়েল রানা (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের জিঞ্জাসাবাদে শহীদুলকে একটি ভাড়া বাসায় হত্যা করে তার কাছে থাকা টাকা নিয়ে মান্দার সতীহাট থেকে একটি পিকআপে করে ড্রামের ভিতর ভরে লাশটি উক্ত স্থানে ফেলে রেখে চলে আসে। পরে শনিবার আসামীরা পুলিশের কাছে এবং আদালতে কাছে নিজেদের হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ একেএম মামুন চিশতী ও সদর সার্কেল আবু সাঈদ, রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দ, নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জুয়েলসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।