যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই বলেন, তারা খাবারে মিষ্টি খাচ্ছেন না, তা সত্ত্বেও রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, খাবারের পাশাপাশি চারপাশে এমন কিছু ফল রয়েছে যা খেলে চিনির পরিমাণ কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু ফল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের পক্ষে ভালো, এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।
যে কোনও রোগকে ডেকে আনতে ডায়াবেটিসের জুড়ি নেই। অতিরিক্ত সুগার চুপি চুপি একের পর এক অঙ্গকে অকেজো করে দেয় কিডনি থেকে লিভার থেকে চোখ। তাই প্রথম থেকেই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
চিকিৎসকদের মতে, খাদ্যাভাসে বড় রকম পরির্বতন হলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে। আবার রাত জাগলে বা দিনের বেলা ঘুমোলেও রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে। মানসিক উদ্বেগ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা তো আছেই।
শহরে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খেলাধুলা ব্যায়াম, এক কথায় কায়িক পরিশ্রম না করলেও রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০.৩ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তবে, আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ৫ রকমের খাবার।
বাদাম রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। বাদাম কেন ডায়াবেটিসের জন্য কার্যকর? বাদাম টাইপ-২ ডায়াবেটিসযুক্ত লোকদের জন্য ভালো। বাদামের মধ্যে অসম্পৃক্ত ফ্যাটগুলো হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোকে সুরক্ষা দেয়। শুধু এটিই নয়, প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি সমীক্ষা অনুসারে বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, থায়ামিন, ক্যারোটিনয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন পেস্তা বাদাম খান : পেস্তা খাওয়ার অর্থ শরীরকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি দেওয়া। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং চর্বি রয়েছে যার পরে পেট দীর্ঘকাল ধরে পূর্ণ থাকে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় গবেষকরা ৪ সপ্তাহের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের ডায়েটে পেস্তা সমৃদ্ধ খাবার রাখা হয়েছিল। চার সপ্তাহ পরে এই লোকদের মধ্যে এলডিএল এবং এইচডিএল কোলেস্টেরলের অনুপাতটি লক্ষণীয় ছিল। কেবল এটিই নয়, পেস্তা খাওয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল, যা আরও ভালো কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়।
কীভাবে খাবেন- একটি বাটি ফলের স্যালাডের সঙ্গে ৩০টি পেস্তা প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে। সুগার রোগীদের কাজু বাদাম খাওয়া ভালো। এইচডিএল থেকে এলডিএল কোলেস্টেরলের অনুপাত উন্নত করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কাজু দুর্দান্ত। ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষায় গবেষকরা ৩০০ জনকে কাজুযুক্ত খাবার দেওয়া হয়েছিল ১২ সপ্তাহের পর দেখা যায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এই অংশগ্রহণকারীদের রক্তচাপ কেবল হ্রাসই ঘটেনি। তবে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কী ভাবে খাবেন- ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন এক মুঠো কাজু খাওয়া উচিত। আখরোট ডায়াবেটিস বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। খুব কম লোকই স্বাস্থ্য সচেতন। তবে আখরোট ডায়াবেটিস বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করে। বিএমজে ওপেন ডায়াবেটিস রিসার্চ অ্যান্ড কেয়ার দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আখরোট খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বা তার গঠনের উপর কোনও প্রভাব পড়ে না। গবেষকরা ৬ মাস ধরে ১১২ জন অংশগ্রহণকারীদের আখরোট সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয়।
কী ভাবে খাবেন- খোসা ছাড়ানো পর কাঁচা আখরোট খান। চিনাবাদাম খান : গবেষণায় দেখা গেছে, চিনাবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৩ সালে পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মহিলাদের জন্য ডায়েটে চিনাবাদাম দেওয়া হয়েছিল। চিনাবাদাম খাওয়া ফলে মহিলাদের রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়।
কী ভাবে খাবেন- ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন ২৮ থেকে ৩০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।