মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দখলদার ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকার। ধর-পাকড় ও হয়রানি বন্ধ না হলে ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে সংঘাত বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিন। রোববার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন এ সতর্কতার কথা জানান। খবর-বার্তা সংস্থা ওয়াফার। ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শেখ জাররাহ ও আল-আকসা মসজিদে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এসব ঘটনা পুনরায় উত্তেজনায় টেনে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ইসরাইলি দখলদার সরকারের সরসরি এসব নাশকতা বন্ধে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন দায়বদ্ধ। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও গাজা পুর্নগঠনে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের এবং মার্কিন প্রাশাসনের সঙ্গে মিসরের প্রচেষ্টার বিষয়টিও তুলে ধরেন। ইসরাইলি নীতির উসকানি ও উত্তেজনা বন্ধ করতে তিনি মার্কিন প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করার আহবান জানিয়েছেন। কারণ, ইসরাইলি সরকার এই অঞ্চলকে পেছনের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় আবু রুদেনি জোর দিয়ে বলেন, জেরুজালেম নিয়ে মূল যুদ্ধ হয়েছিল এবং এটি এখনো চলামান রয়েছে। এদিকে আল-আকসার তদারককারী কর্তৃপক্ষ দ্য ওয়াক্ফ বলেছে, আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধার মুখে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি আবেদন করলেও ৪৫ বছরের নিচে কাউকেই মসজিদটিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মসজিদে প্রবেশে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। এর আগে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য আল-আকসায় জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি পুলিশ। পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর যখন ইসরাইল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারত। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা। অপরদিকে, ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ইহুদিবাদী দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে কয়েক হাজার নাগরিক ফ্রান্সে বিক্ষোভ করেছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শনিবার প্রায় ৪ হাজার বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেন। ফ্রান্স ফিলিস্তিন সলিডারিটি অ্যাসোসিয়েশন নামে সংগঠনটি প্যারিসের রিপাবলিক স্কয়ারের সামনে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ফিলিন্তিন জীবন্ত, ফিলিস্তিনের জয় হবে এবং ইসরাইল ঘাতক, ম্যাখোঁ সহায়তাকারী। প্রতিবাদকারীদের বহন করা ব্যানারে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেখা যায়। তাতে লেখা রয়েছে, মুক্ত ফিলিস্তিন চাই, গাজায় বোমা হামলা বন্ধ কর এবং ইসরাইলে নিষেধাজ্ঞা চাই। তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিক্ষোভে বিভিন্ন বর্ণবাদ বিরোধী অ্যাসোসিয়েশন ও ইহুদিবাদবিরোধী ইহুদি গোষ্ঠীগুলো অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভে কয়েকজন বিরোধী দলীয় এমপি অংশগ্রহণ করেন। তারা বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরকারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানান। আল-জাজিরা, রয়টার্স, ইয়েনি সাফাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।