Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উদ্ধার ৩৩ জনের মধ্যে মাদারীপুরের ২৩ জন

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি

আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

অবৈধপথে ইতালি যাবার সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ৩৩ বাংলাদেশী উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় ৫০ অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে কোন কোন দেশের অভিবাসী রয়েছে তা জানা যায়নি।
তিউনিশিয়ার সেনাবাহিনী যে ৩৩ বাংলাদেশীকে জীবিত উদ্ধার করেছে তাদের মধ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলার ২৩ জন। এর মধ্যে পেয়ারপুর গ্রামেরই ১৪ জন। নৌকাডুবিতে ওই গ্রামের সেন্টু মন্ডল এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। একই গ্রামের ১৪ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের ফিরে পাওয়ার শঙ্কায় পরিবারের মাঝে বিরাজ করছে অনিশ্চিয়তা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং ভুক্তভোগীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে ৯০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী লিবিয়ার জাওয়ারা উপকূল থেকে একটি নৌকায় অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপের ইতালি যাচ্ছিল। ইউরোপে প্রবেশের সময় উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার উপক‚লে ভ‚মধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবির পর তিউনিশিয়ার সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ৩৩ অভিবাসন প্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করে।
তারা তিউনিশিয়ায় রয়েছে বলে উদ্ধারকৃত কয়েকজন পরিবারের কাছে মোবাইলে জানিয়েছে। নৌকাডুবির ঘটনায় ৫০ জন নিখোঁজ হয়। জীবিত উদ্ধার ৩৩ জনই বাংলাদেশি। এর মধ্যে ২৩ জনের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এর মধ্যে পেয়ারপুর গ্রামের ১৪ জন। নৌকাডুবিতে একই গ্রামের সেন্টু মন্ডল এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নয়াচর গ্রামের মানব পাচারকারী চক্র ইতালি নেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা করে নেয়। জমিজমা বিক্রি কিংবা ব্যাংক ঋণ এনে তারা দালালের হাতে টাকা তুলে দেয়। তবুও তারা ইতালি পৌঁছাতে পারেনি। অনেকে লিবিয়ার বন্দি শিবিরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তাদের পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে দালালচক্র। অবৈধপথে বিদেশযাত্রার প্রবণতা বাংলাদেশের মধ্যে মাদারীপুর জেলায় বেশি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী একাধিক দালালচক্র।
বিভিন্ন সময় একাধিক মামলা হলেও অদৃশ্য হাতের ইশারায় দালালচক্র রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয় তাও জানা যায় না।
নিখোঁজ সেন্টু মন্ডলের স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত আমার স্বামীর খোঁজ পাইনি। তিনি বেঁচে আছেন কি না তাও জানি না। আমি এখন ৩ অবুঝ সন্তান নিয়ে কোথায় দাঁড়াবো। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, জেলায় যে সব দালাল চক্র রয়েছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমধ্যসাগর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ