Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাড়ি ফিরলেন ফিরহাদ, হাসপাতালেই থাকতে হবে বাকি তিন জনকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গতকালই বাড়ি ফিরলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু নারদ কান্ডে ধৃত বাকি তিন নেতাকে এসএসকেএম হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন নেতার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান সরোজ মন্ডল এমনই জানিয়েছেন।

এ দিনই নারদ কান্ডে ধৃত চার নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে জেল হেফাজত থেকে বাড়ি ফেরার অনুমতি পান তারা। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশের প্রতিলিপি প্রেসিডেন্সিট জেলে পৌঁছনোর পরেই ফিরহাদ হাকিমকে জেল থেকে বের করার প্রস্তুতি শুরু দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেন তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা। জেলের বাইরে ভিড় করেন মন্ত্রীর বেশ কিছু অনুগামী। যদিও মন্ত্রীর পরিবারের তরফে বার বারই কোনও জমায়েত না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ফিরহাদ বাড়ি ফিরলেও অসুস্থতার কারণেই এসএসকেএম হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে সুব্রত, মদন এবং শোভনকে। এ দিন নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, তিন নেতাকেই এখন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন এই তিন নেতারই সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিন ধরেই ভোকাল কর্ড-এ সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যার কারণে অতীতে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় একটানা নেবুলাইজার নেওয়ার ফলে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। প্রবীণ মন্ত্রীর গলার স্বর এতটাই ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে যে তা প্রায় শোনা যাচ্ছে না। সেই কারণেই এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ‘স্পিচ থেরাপি’ করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এখনও শ্বাসকষ্ট রয়েছে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর। কিছুটা উদ্বেগেও রয়েছেন তিনি। ফলে এখনই তাঁকে ছুটি দিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা। ধৃত আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এ দিনই সিরোসিস অফ লিভারের সমস্যা ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবারই তার পেটের আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করা হয়। তাতেই এই সমস্যা ধরা পড়ে। এর আগেও এই সমস্যায় ভুগেছেন শোভন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চড়া ডায়াবিটিসের কারণে প্রাক্তন মেয়রের চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার হৃদযন্ত্রেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। ফলে তাঁকেও আপাতত হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। তবে শোভনকে বাড়ি নিয়ে গিয়েই চিকিৎসার পক্ষে ছিলেন তার বান্ধবী বৈশাখী। যদিও, সেই অনুমতি দেননি চিকিৎসকরা।
কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রেরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাঁকেও টানা অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। মদন মিত্রের ফুসফুসেও সামান্য সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করাই চিকিৎসকদের প্রাথমিক লক্ষ্য। তাছাড়া কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এখনও শারীরিক ভাবে কিছুটা দুর্বল তিনি। মদনের পরিবার অবশ্য তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়। মন্ত্রী ছেলে শুভরূপ মৈত্র জানান, চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দেবেন সেটাই মেনে চলবেন তারা। ফলে আদালতের অনুমতি থাকলেও শুক্রবার অন্তত বাড়ি ফেরা হচ্ছে না সুব্রত, মদন ও ফিরহাদের। সূত্র : নিউজ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাসপাতাল

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ