Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাদের মির্জার দুই সহযোগীর গুলি ছোঁড়ার ভিডিও ভাইরাল

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদুল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল ও আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্চি মাসুদের গুলির ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৩ মে বিকেলে কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে বসুরহাটের করালিয়ায় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার চালানো হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কেচ্ছা রাসেল ও পিচ্চি মাসুদ সরাসরি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে।
ওইদিন এ ঘটনায় দৌড়ে পালাতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা নূর মোহাম্মদ রাহীম, আরিফুর রহমান রাহীম, পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করিম উদ্দিন শাকিল, কোরবান আলী রাকীব ও রাজীব আহমেদ রিয়াদ আহত হন। তারা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পরে এ ঘটনায় সোমবার রাতে আহত নূর মোহাম্মদ রাহীম বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় কাদের মির্জার ৩৮ সহযোগীর বিরদ্ধে মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত কেচ্ছা রাসেল পৌর মেয়র কাদের মির্জার সঙ্গে পৌরসভা ভবনের তিন তলায় অবস্থান করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বাড়িতে গুলিবর্ষণ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় গুলিবর্ষণ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে গুলি করে পঙ্গু করাসহ সা¤প্রতিক সময়ের অন্তত ১৪/১৫টি মামলা রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি তার (রাসেলের) বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভিডিওটি আমাদের হাতে এস পৌঁছেছে। পুলিশ অস্ত্রধারী এ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দীর্ঘদিন থেকে ফেসবুক লাইভে ঘোষণা দিয়ে আসছেন, আমার কোন কর্মীর হাতে অস্ত্র দেখা গেলে সেদিন আমি (কাদের মির্জা) হিজরত করবো। এমন বক্তব্যের পর তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাসেল ও মাসুদের হাতে অস্ত্রের ভিডিওর ব্যাপারে মতামত জানতে কাদের মির্জাকে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাদের মির্জা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ