পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তাঁর সহধমির্ণী ইশরাতুনন্নেছা কাদের এবং নোয়াখালীর এসপি মো. শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিষেদগার করে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, এসপি তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করছ। কার হুকুমে কালকে আমার এবং আমার দুইজন কর্মির ছবি তুমি প্রদর্শন করেছো। ওসির কাছে পাঠিয়েছো আমাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য। এ সাহস তোমাদেরকে কে দিয়েছে, ওবায়দুল কাদের? সে তো কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে এবং কসম খায়। মন্ত্রীর বউকে টাকা দিলে, তার বাসায় গোল্ড, মাছ, ভেড়া, দধি পাঠাইলে সে হয় কোম্পানীগঞ্জের নেতা। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি যে মহিলাকে নিয়ে ঘর করেন, সে আপনার নাম বিক্রি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে আজকে নিয়ন্ত্রণ করে। সব লুটপাট করে খাচ্ছে আপনার এডিশনাল ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে। আপনার সচিব সবাই দুর্নীতিবাজ। আপনার পিডি দুর্নীতিবাজ। মন্ত্রীর কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাছে চাকরির জন্য এসে সর্বস্ব হারিয়েছে কত মেয়ে। যদি প্রমাণ না করতে পারি তাহলে হিজরত করব। যে যেখানে আছে সবাই লুটপাটে ব্যস্ত। সারা দেশ লুটপাটের একটা আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। মনে হয় বলার কেউ নেই।
কাদের মির্জা ওবাদুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, সবাই বলে আমার প্রতিপক্ষদের আপনি লাগাই রাখছেন। এখনও তাদের উৎসাহ জোগান। আমারে কন আল্লার কসম তাদের সাথে আমার দেখা হয় না। হায়রে মিথ্যুক। একটা মন্ত্রী, একটা দলের দুই বারের সেক্রেটারি। এভাবে মিথ্যাচার করেন আপনি। আপনি মনে করছেন আপনাকে ভয় পাই। আপনি জেলে দিবেন, মেরে ফেলবেন, মারিতো ফালাইছেন। চার বার আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে আমাকে মারার চেষ্টা করছে। আপনি বিচার করেননি। পুলিশকে দিয়ে ভিন্ন খাতে নিছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব আল্লাহর আদালতে আপনার বিচার হবে।
এ সময় কাদের মির্জা এসপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমি এসপি। আমি ডিএস সমমর্যদার একজন প্রথম শ্রেণির পৌর মেয়র। কাকে ভয় দেখাও। তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেসবুক লাইভে দেয়া কাদের মির্জার বক্তব্য তিনি শুনেছেন। তবে পুরো বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।