বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধির সাথে দক্ষিণাঞ্চলে পেটের পীড়াসহ ক্রমবর্ধমান ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো জনমনে স্বস্তি দিচ্ছে না। গত সাড়ে ৪ মাস ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের ৯৯ ভাগ পর্যন্ত কম থাকায় উজনের প্রবাহ হ্রাসের ফলে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারে ওঠে আসা লবনাক্ত পানিতে সয়লাব দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদী ও খাল বিল। ফলে অজু-গোসলসহ গৃহস্থলি কাজে এসব পানি ব্যবহারে নানা ধরণের পেটের পীড়া বাড়ছে। পাশাপাশি দুঃসহ গরমেও ডায়রিয়াসহ নানা ধরণের পেটের পীড়া বাড়ছে। ইতোমধ্যে বরিশালে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছেছে।
আর সরকারি হিসেবেই ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হাসপাতালে প্রায় ৫৫ হাজারের বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসার জন্য এসেছেন। মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ববর্তি ৪৮ ঘণ্টায়ই দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো প্রায় ৮শ’ নারী-পুরুষ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২১ জন। আর গতকাল বৃহস্পতিবারে সংখ্যাটা ছিল ৩৭৩।
এখনো দক্ষিণাঞ্চলে ৬ জেলার মধ্যে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে ভোলা। ইতোমধ্যে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার ৭শ’। মারা গেছেন দু’জন। গত ৪৮ ঘণ্টায় জেলাটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪। পটুয়াখালীতেও ইতোমধ্যে ডায়রিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। গত ৪৮ ঘণ্টায় জেলাটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো ১১৫ জন ডায়রিয়া রোগী। বরগুনাতেও গত ৪৮ ঘণ্টায় নতুন ১১৪ জনসহ মোট ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ৬শ’। জেলাটিতে ইতোমধ্যে ৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্তের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পটুয়াখালী ও বরগুনার খালের পানিতে ডায়রিয়ার জীবানু পেয়েছেন আইইডিসিআর-এর পর্যবেক্ষক দল।
বরিশাল বিভাগীয় সদরেও এপর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর সাথে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজর। গত ৪৮ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৯ জন। পিরোজপুরেও এসময়ে নতুন ১৪৪ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৩শ’। আর দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠীতে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৭৮ জনসহ এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের ওপরে।
প্রতিদিনই দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলা-উপজেলাতে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ অঞ্চলের সবগুলো সরকারি হাসপাতাল এখনো ডায়রিয়া রোগীর ভিড়। এমনকি বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ৪ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এখনো প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন করে রোগী চিকিৎসাধীন।
তবে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের মতে ডায়রিয়ার প্রকোপ আগের চেয়ে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। চিকিকৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যলাইনসহ সব ধরনের চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রীর পর্যপ্ত মজুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার সহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।