পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় জাতিসঙ্ঘ, ওআইসি, আবরলীগসহ তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে দখলদার ইসরাইলের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে তারাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনতিবিলম্বে ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে। কথিত জাতিসঙ্ঘ ভেঙ্গে দিয়ে মুসলিমদের রক্ষায় মুসলিম জাতিসঙ্ঘ গঠন করতে হবে। একই সাথে ইসরাইলের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। সন্ত্রাসী ইসরাইলকে থামানো না গেলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে না।
ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলির গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হামলা করে নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের গণহত্যা করছে। আমরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের এমন বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা যখন নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় ইট, পাথর আর রকেট দিয়ে লড়াই করছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ জঙ্গি রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষেই সাফাই গাইছে। একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যুদ্ধাপরাধ করা সত্ত্বেও ইসরাইলকে তারা সমর্থন করছে। নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের এমন নীরবতায় আমরা বিস্মিত। সন্ত্রাসী ইসরাইলকে থামানো না গেলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে না। তাই বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাওলানা হাসানাত আমিনী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি আগ্রাসন ও হামলার প্রতিবাদ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এতে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনে বোমা ও বিমান হামলার মাধ্যমে যেভাবে বেসামরিক লোকদেরকে হত্যা করছে, তা দেখে কোন মুসলমান নীরব থাকতে পারে না। অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে জো বাইডেন মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কাজেই যে অপরাধে নেতানিয়াহু অপরাধী একই অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও অপরাধী। ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হামলা চললেও জাতিসঙ্ঘ নীরব। তারা ইসরাইলের বর্বরতা বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব পর্যন্ত সভায় পাশ করতে পারেনি। পৃথিবীর প্রধান সারির রাষ্ট্রগুলোও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় জাতিসংঘ, ওআইসি, আবরলীগসহ মানবাধিকারের ধ্বজাধারী তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে দখলদার ইসরাইলের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে তারাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনতিবলিম্বে ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষনা করতে হবে। কথিত জাতিসঙ্ঘ ভেঙ্গে দিয়ে মুসলিমদের রক্ষায় মুসলিম জাতিসঙ্ঘ গঠন করতে হবে। একই সাথে ইসরাইলের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, মুফতি জুনায়েদ বিন গুলজার, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, মাওলানা আব্দুল বাতেন, মুফতি আবুল খায়েল বিক্রমপুরী, মাওলানা মুমিনুল হক, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা নুরুজ্জামান, রুবেল মজুমদার, মাওলানা আল আমিন মামুন ও ইসলামী ছাত্র খেলাফতের সেক্রেটারী মুহিউদ্দীন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।