Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগে তুলে সংবাদ সম্মেলন

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২১, ৪:১৩ পিএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে যবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগরে চেয়ারম্যান ড. মো. আমজাদ হোসেন
বৃহস্পতিবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। তার সাথে ছিলেন শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার শেষ নেই। তিনি পছন্দসই ব্যক্তিদের দিয়ে গঠনকৃত কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে প্রতিমাসে ৬০,০০০/- টাকা উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেন।

সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে উপাচার্য ক্যাম্পাসে অবস্থানকালীন দিনপ্রতি মাত্র ১২৫/- টাকা ভাড়া দিয়ে উপাচার্যের জন্য নির্ধারিত বাংলো সম্পূর্ণ ব্যবহার করেন এবং বাংলোর সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন

উপাচার্যের নিয়োগপত্র মোতাবেক সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন মর্মে শর্ত থাকলেও উপাচার্য প্রায়ই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। যবিপ্রবির “শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে গত ১৪/১১/২০২০ তারিখে উপাচার্য কর্তৃক যবিপ্রবি’র উচ্চমানের গবেষকদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক (যিনি বিশ্ব সেরা টপ ২% গবেষক হিসেবে নির্বাচিত) অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নামের সাথে যবিপ্রবির উপাচার্যের নামের মিল থাকায় নিজেকে সেরা গবেষক (টপ ২% গবেষক) হিসাবে মিথ্যাচার করে শিক্ষক সমিতি-২০২০ এর নিকট থেকে সম্মাননা গ্রহণ ও নিজে মিডিয়াবাজি করেন।

যবিপ্রবির উপাচার্য যবিপ্রবিতে যোগদান করার পর থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গবেষণা ভাতা হিসেবে মাসিক ৩,০০০/- টাকা গ্রহণ করেন অথচ বিশ^বিদ্যালয়ের বিশ^সেরা গবেষকদের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক ড. ইমরান খান, ড. জাভেদ হোসেন খান ও ড. আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য সকল শিক্ষকদেরকে মাসিক গবেষণা ভাতা হিসেবে মাত্র ১৫০০/- টাকা প্রদান করা হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি প্রদান ও এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে স্থানান্তর করেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উপাচার্যের সাবেক ছাত্র মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের মদদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে পিএইচডিডিগ্রিবিহীন ৩৫ বছরের অধিক বয়সে ফিরোজ কবিরকে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন।

 



 

Show all comments
  • সামসুর রহমান ২০ মে, ২০২১, ৪:৫৯ পিএম says : 0
    সব ভিসির বিরুদ্ধেই যদি দুর্নিতির গন্ধ বের হয় তবে তারা কি ধরণের শিক্ষায় শিক্ষিত। কোন নীতিমালায় কারা কি ভাবে তাদের ঐ পদে বসায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ২০ মে, ২০২১, ৫:২৫ পিএম says : 0
    If our country after liberation ruled by Qur'an then there will no criminal in our country including the ruler. Our country is now crime infested like corona virus, if we do not rule by Qur'an then whole country will be destroyed by all these criminals.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ সম্মেলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ