Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতা ও বাল্য বিয়ে পন্ডের জেরে সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৯ ঘরে অগ্নি সংযোগ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ৩:১৭ পিএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ধানীসাফা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্ব শত্রুতা ও বাল্য বিয়ে পন্ড হওয়ার জেরে সোমবার রাতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ নারীসহ ৯ জন গুরুতর জখম হয়েছে। এসময় একটি বসত ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ওই রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে।
জানাযায়, ওই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ও ফখরুদ্দিন এর মেয়ের সাথে রবিবার রাতে পারিবারিকভাবে বিবাহের তারিখ ধার্য হয় ছেলে মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কে বা কাহারা ৯৯৯ কল করিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধ করে দেয় এবং সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে ছেলে ও মেয়ে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী রতন বেপারীর পরিবারের লোকজনের উপর সন্দেহ করে রাতেই তাদের বাড়িত হামলা করে।
রত্তন বেপারীর ভাই মানিক বেপারীর স্ত্রী রুনু বেগম জমি সংক্রান্ত বিরোধের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন একটি বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেয়। এতে রাজা মিয়া বেপারীর গ্রুপের ধারনা আমার ভাসুর রত্তন বেপারী প্রশাসনকে সংবাদ দিয়েছে। প্রশাসনিক লোকজন চলে যাবার পর রাজা মিয়া বেপারীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি ভাড়াটিয়া বাহিনী এলাপাথারি হামালা চালিয়ে ও কুপিয়ে মিজানুর বেপারী (৩২), জেসমিন (৩৮), শাহিনুর (৫০), আলামীন (২৮), ও রত্তন বেপারী (৬০) কে জখম করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রত্তন বেপারীসহ ৩ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপাওে ওই গ্রামের মৃত হাশেম বেপারীর স্ত্রী শাহাবানু (৭০) জানান, তার ছেলে রাজা মিয়ার সাথে প্রতিবেশী মৃত. মোসলেম বেপারীর ছেলে রত্তনের দীর্ঘ দিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার রাতে রত্তন বেপারীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী রাজা মিয়ার বসত ঘরে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্রের কোপে রাজা মিয়া বেপারি (৫০), মাসুম (৩২) ও শিমু বেগম (৪০) গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সুযোগে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে তাকে (শাহাবানু) পিটিয়ে আহত করে বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘরটি সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ