Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাইডেনের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

ফিলিস্তিনে গত সাতদিন ধরে ইসরাইলের আগ্রাসন চলছে। ইসরাইলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সারা এই ঘটনায় বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের হামলাকে তাদের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের এই অধিকারের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরাইলে রকেট হামলা থামাতে ফিলিস্তিনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। গত শনিবার তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামেনন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এ কথা জানান। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই অবস্থান তার দল ডেমোক্র্যাট পার্টির ভেতরে ক্ষোভের ও বিভক্তির তৈরি করেছে। সিএনএনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা ইসরাইলের ওপর আরো চাপ তৈরিতে কাজ করতে আহবান জানিয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাটরা সামাজিক ও জাতিগত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছে। উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটরা চান অভ্যন্তরীণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পররাষ্ট্রনীতিতেও ন্যায়বিচারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে বাইডেন প্রশাসন। দলের উদারপন্থীরা মানবাধিকারকে অবজ্ঞা করে ইসরাইলের পক্ষে হোয়াইট হাউসের অবস্থান নেওয়ার সমালোচনা করছেন। পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোতে উচ্ছেদ নিয়ে ইসরাইলের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান না নেওয়ার জন্যও তারা বাইডেনের সমালোচনা করছেন। ইসরাইলের নিজেকে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বুধবার বাইডেন একথা বলার পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের উদারপন্থীরা ব্যাপক সমালোচনা করেন। নিউইয়র্কের কংগ্রেসম্যান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-করটেজ বৃহস্পতিবার বলেন, তাহলে কি ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, যদি বাইডেন প্রশাসন একটি মিত্রের বিপক্ষে সাহস নিয়ে দাঁড়াতে না পারে তবে কে পারবে? তাহলে কীভাবে দাবি করবেন যে আপনারা মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন? মিশিগানের কংগ্রেসম্যান রশিদা তালিব, ইসরাইল গণমাধ্যমকে টার্গেট করছে কিন্তু বিশ্ব তাদের যুদ্ধাপরাধ দেখতে পারছে না। শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসে এক নিবন্ধে ডেমোক্র্যাট নেতা সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো। তারা নেতানিয়াহু সরকারের সমর্থনকারী হতে পারে না। এদিকে রবিবার হোয়াইট হাউসের এক ভার্চুয়াল ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় মুসলিম মানবাধিকার সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স। সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাইডেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ