বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কাপ্তাই থানা পুলিশ মাদক অভিযান পরিচালনা কালিন মাদক সেবিদের হামলার স্বীকার,পুলিশের মটরসাইকেল ভাংচুর। উত্তেজনা দেখা দিলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। বেশ কিছুদিন যাবৎ কাপ্তাই ৪নং ইউপি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ,আড্ডা ও বখাটের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় এ বিষয়ে জন প্রতিনিধিগন এলাকায় শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য মাসিক সভায় আলাপ করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাপ্তাই থানা াপুলিশ ও ফাঁড়ির লোকজন রোববার(১৬মে) রাত ৯টায় পুলিশ মাদক অভিযান পরিচালনা করে,কর্গো এলাকা,ঈদগা এলাকা,আনন্দমেলা ঘাট,স্বর্ণটিলা,বিএফআইডিসি টিলা,স মিলা এলাকা ,কাপ্তাই স্কুলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করা করা হলে মাদক সেবিবা পুলিশ দেখে দৌড়া,দৌড়ি ও দিকবেদিক ছুটাছুটি শুরু করে। এ এনিয়ে তাদের মধ্যে এটি উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় মাদক সেবির একটি সিন্ডিকেট দল পুলিশের ওপর ওৎকিত হামলা করে ইট,পাটকেল ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে উত্তেজিত মাদক সিন্ডিকেট দল ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ব্যবহারিত মটর সাইকেল এবং আরো একটি জব্দকৃত মটরসাইকেল হামলা করে ভাংচুর করা হয়। ঘটনা উত্তেজিত দেখা দিলে রাতে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ মোতায়ন করে পরে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। রাতে উক্ত ঘটনার জন্য রাঙ্গামাটি জেলা আসনের দীপংকর তালুকদার এমপি, ঘটনা বিস্তারিত জানার জন্য কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরীকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়ে ঘটনাস্থলে খোজ খবর নিতে বলেন। সোমবার(১৭মে) দীপংকর তালুকদার এমপির প্রতিনিধি অংসুইছাইন চৌধুরী, ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত খোজ খবর নেই এবং সকলের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন,মাদক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করার সময় কারো ইন্দনে পুলিশের ওপর হামলা করেছে এটা ঠিক নয়। আমরা সব কিছু জেনে ব্যবস্থা নেব বলে উল্লেখ করেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন,প্রতিমাসে আইনশৃঙ্খা মিটিং মাদক নিয়ে আলোচনা করা হয় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি। নিশ্চিই কারো না করো এ ব্যাপারে ইন্দন রেয়েছে। কাপ্তাই ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন,আমাদের এলাকায় মাদক ,বাজে আড্ডা বেড়ে যাওয়ার আমরা সব সময় মাসিক আইনশৃঙ্কা সভায় নিয়ন্ত্রকরার জন্য পুলিশ কে বলা হলে পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রনের জন্য রাতে অভিযান করে কিছু বখাটে ও মাদক সেবিকের ছত্রবংঙ্গ করা হলে একটি মাদক সিন্ডিকেট দল কারো ইন্দনে পুলিশের ওপর হামলা করে গাড়ি ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। একটি শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করার জন্য কিছু লোক এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের সঠিক বিচার চাই। এদিকে কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন,মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় জনপ্রতিনিধি এলাকায় মাদক সেবন,বাজে আড্ডা,বখাটের উৎপাতের কথা জানালে পুলিশ নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকায় মাদক অভিযান করে। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর মারমুখি হয়ে এলাকার কিছু মাদক সেবি মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে পুলিশের ওপর অর্তকিত হামলা করে পুলিশের ব্যবহারিত একটি মটরসাইকেল সহ আরো জব্দকৃত একটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। তবে কোন নিরাহ ব্যাক্তির ওপর কোন হামলা করা হয়নি বলে তিনি জানান। পুলিশ মাদক অভিযান পরিচালনা করার সময় তাদের ওপর হামলা গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় কাপ্তাই থানায় ২৫/৩৫জনের বিরুদ্বে একটি মামলা করেন পুলিশ এবং অজ্ঞত আরো ২০০/২৫০জনের রয়েছে বলে জানান। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।