Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক যুগ ধরেই ঈদের আনন্দ নেই বিএনপিতে : সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঈদ বলতে যা বোঝায়, সেই ঈদের আনন্দ এক যুগ ধরেই নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে- অত্যন্ত একটা কষ্টের মধ্য দিয়ে, দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে। একদিকে কোভিড করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন। এই দুই দানবের হাত থেকে এই দেশ যেন রক্ষা পায়, জনগণ যেন রক্ষা পায়, সেই দোয়া আমরা আল্লাহর কাছে করেছি। গত শুক্রবার ঈদের নামাজ শেষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত ছাড়া ঈদের দিন আর কোনো কর্মসূচি বিএনপি এবার রাখেনি।

আগের দুই বছর কারাগারে কাটানো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার হাসপাতালে। তাকে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঈদ কেমন কাটছে- সেই প্রশ্ন মির্জা ফখরুল বলেন, ঈদ বলতে আমরা যেটা সবসময় বুঝি, সেই ঈদ আমাদের শুধু তিন বছর নয়, সত্যি কথা বলতে গত এক যুগ ধরেই আমাদের ঈদ নেই। কারণ আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা মিথ্যা মামলা দেওয়া-এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে, এই দেশে আমাদের কমপক্ষে ৩৫ লাখ নেতা-কর্মী আসামি হয়ে আছেন। যারা আসামি হন, তাদের পরিবারে কখনো ঈদ আসে না। এটা বাস্তবতা।

সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘বর্ণনাতীত অত্যাচার-নির্যাতন’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন আমাদের সাথে থাকেন তখন উজ্জীবিত হই, তিনি অনুপ্রাণিত করেন। তিনি কারাগারে তিন বছর। এখন এটা ভেবে আমরা অনুপ্রাণিত হই যে, তিনি তো আছেন, বেঁচে আছেন। এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব- এটাই আমাদের আজকের দিনের শপথ।

লকডাউন নিয়ে সরকার ভুল নীতিতে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মহামারী ঠেকাতে সরকারের যে বিধিনিষেধের নীতি, তাতে ভুল আছে। সরকারের ভুল নীতির কারণে আজকে কীভাবে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। এমনকি বাড়ি যাওয়ার পথে ইতোমধ্যে ৫ জন (ফেরিতে) নিহত হয়েছে। অন্যদিকে দেখুন যে, তাদের (সরকার) ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একদিকে তারা বলছে লকডাউন, কিন্তু কোনো লকডাউন পালন হচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ করেছেন, কিন্ত বন্ধ হচ্ছে না। সরকার পরিকল্পনাগুলো ‘সঠিকভাবে’ সাজালে এমন পরিস্থিতি হত না বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আমরা বার বার করে বলছি, প্রণোদনার যে টাকা, তা যদি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাত, তাহলে এই অবস্থা হত না। সাধারণ মানুষ সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রণোদনা বা কোনো সাহায্য পায়নি- এটা বাস্তবতা। বাজেটে ‘মেগা প্রজেক্টের’ জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়, তার ‘একটি বড় অংশ’ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে সরকারকে পরামর্শ দেন ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বেলা সাড়ে ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে যাস। সেখানে তারা ফাতেহা পাঠ করে মোনাজাতে অংশ নেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সও তাদের সঙ্গে ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ