এছাড়াও অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তিতে জোর পদক্ষেপ নেওয়া ও থমকে যাওয়া ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ নতুন নামে ফিরিয়ে আনার কথাও ভাবছে আইসিসি।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় এই সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনও না হলেও ইতিবাচকভাবেই সামনে তাকানো হচ্ছে এসব নিয়ে। বিশেষ করে, প্রভাবশালী দেশগুলির সমর্থন আছে বলে এই আলোচনাগুলো বাস্তব রূপ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
বিশ্বকাপে দল সংখ্যা অবশ্য এখনই বাড়ছে না। ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে ২০২৪ আসর থেকে। সেখানে প্রাথমিক পর্ব থেকেই সবগুলি দলের অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চার গ্রুপে থাকবে পাঁচটি করে দল।
এখন ১৬ দলের বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্বে দুই গ্রুপে অংশ নেয় চারটি করে দল। পরে মূল পর্বে ১০ দল খেলে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর ভাবনাকে বলা যায় আরও ইতিবাচক পদক্ষেপ। ৫০ ওভারের সংস্করণে দল সংখ্যা কমানো হচ্ছিল ক্রমেই। ২০০৭ আসরে যেখানে অংশ নিয়েছিল ১৬ দল, ২০১১ ও ২০১৫ আসরে ১৪ দল, সেখানে ২০১৯ আসরে সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হয় ১০ দলে। মূলত ‘বিগ থ্রি’ গঠিত হওয়ার বিশ্বকাপে দল সংখ্যা এত কমানো হয়েছিল এই কারণ দেখিয়ে যে, ব্রডকাস্টাররা একতরফা ম্যাচ কম চায়। এখন আর ‘বিগ থ্রি’ নেই। ১৪ দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপও তাই বাস্তব সম্ভাবনা।
আইসিসির সহযোগী দেশগুলির জন্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ছিল মানসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার বড় সুযোগ। আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলি এখানে খেলেই সুযোগ পেয়েছে পরের পর্যায়ের জন্য নিজেদের তৈরি করার। আর্থিক কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন তা ফিরতে যাচ্ছে নতুন নামে ও নতুন চেহারায়।
অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা চলছে টি-টেনকে ঘিরে, যেন বেশি দল অংশ নিতে পারে। প্রধান নির্বাহীদের সভায় এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। একসময় অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপ থমকে গিয়েছিল ভারতের বিরোধীতায়। তবে এখন তারাও সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলে উজ্জ্বল হয়েছে সম্ভাবনা।
২০২৮ অলিম্পিকেই ক্রিকেটকে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে আলোচনা হয়েছে সভায়। তবে বাস্তব সম্ভাবনার দিক থেকে ২০৩২ অলিম্পিকই আইসিসির মূল লক্ষ্য।