ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উয়েফা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি জানায়।
প্রাথমিকভাবে, আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার গত শুক্রবার তুরস্ককে কোভিড-১৯ ‘লাল তালিকায়’ রাখায় ফাইনাল দেখতে দেশটিতে ভ্রমণে ইচ্ছুক ইংলিশ সমর্থকদের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসে।
শুরুতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনাল আয়োজনের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেটা বাস্তবায়নে নানা প্রান্ত থেকে সাপোর্ট স্টাফ, ব্রডকাস্টার ও স্পন্সরদের দেশটিতে আসতে হতো, মূলত এ বিষয়ে বিশদ আলোচনার পরই বাতিল হয়ে যায় সেই পরিকল্পনা।
আগামী ১৭ মে থেকে যুক্তরাজ্য সরকারের ‘সবুজ তালিকায়’ থাকবে পর্তুগাল। ফলে ফাইনালের জন্য ইংলিশ সমর্থকদের সেখানে ভ্রমণে বাধা থাকবে না। দুই দলের ছয় হাজার করে সমর্থক স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে পারবে বলে উয়েফার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পর্তুগাল এখন লকডাউন শিথিল করার শেষ ধাপে আছে। ১৭ মে থেকে তারা ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘অল ইংলিশ’ ফাইনাল মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ মে। হাই-ভোল্টেজ খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়। দুদলের জন্য ছয় হাজার করে মোট ১২ হাজার টিকিট বরাদ্দ করেছে উয়েফা।
সংস্থাটির সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘(করোনাকালে) এমন একটি বছর অতিক্রম করার পর ভক্তদের মৌসুমের সবচেয়ে বড় ম্যাচে তাদের নিজেদের দলের খেলা দেখার সুযোগ না দেওয়াটা একদমই ঠিক হতো না।’
গত আসরের ফাইনালও হওয়ার কথা ছিল ইস্তানবুলে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে টুর্নামেন্ট স্থগিত থাকার পর কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হয় পর্তুগালের লিসবনে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে সেখানেই হয় ‘আট দলের মিনি-টুর্নামেন্ট।’