পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দফায় দফায় আল আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লির উপর বর্বর হামলা ও গাজায় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল পবিত্র আল-আকসা মসজিদের মুসল্লির উপর গুলি, টিয়ারসেল, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস, বিমান ও গ্রেনেড হামলা চালিয়ে যেভাবে তান্ডব অব্যাহত রেখেছে তা চরম অন্যায় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বর্বরোচিত হামলা ও ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যা করে বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ইহুদীবাদী ইসরাইলের এ জুলুম নির্যাতন ও হত্যাকান্ড বিশ্ব মুসলিম কোনভাবেই বরদাশ করবে না। ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের চরম মূল্য দিতে হবে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলকে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ম ম জিলানীর সঞ্চালনায় ও ঢাকা মহানগরের উত্তরের সভাপতি ড. মাওলানা হাফেজ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী মহাসচিব মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, মুফতি মাহমুদুল হাসান আল কাদেরী, ড. মাহবুবুর রহমান, গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন, ছোলায়মান খান রাব্বানী, নাজমুস সাদাত ফয়েজী, মাওলানা মহিউদ্দিন হামিদী, মাওলানা ইকরাম হোসাইন, অ্যাডভোকেট ইকবাল হাসান, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল মুস্তফা মুহাম্মদ রাহিম আল আজহারী, প্রিন্সিপাল আবু নাসের মুহাম্মদ মুসা, আহমদ রেজা ফারুকী, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, অধ্যাপক মামুনুর রশিদ মোল্লা, ইমরান হুসাইন তুষার, মোহাম্মদ মাসউদ হোসাইন ও কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নুরী। বক্তরা বলেন, মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ রমজান মাসে এমন হামলা কাপুরুষতারই বহি:প্রকাশ। আকষ্মিক ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে বর্বর হামলা নির্মমতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনন্য দৃষ্টান্ত। এ হামলা কখনো মেনে নেয়া যায় না। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে শাস্তি পেতেই হবে। তারা চরম সীমালঙ্ঘন করেছে। আহলে সুন্নাতের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বারবার ফিলিস্তিনে হামলা করলেও জাতিসংঘ,ওআইসি, আরবলীগের নিরব ভূমিকা প্রতিনিয়ত মুসলমানদের প্রথম কিবলা ফিলিস্তিনে আল আকসা ও মুসলমানদের হামলার সুযোগ নিচ্ছে। অথচ এসব সংস্থার দৃশ্যমান কোন ভূমিকা কিংবা দায়িত্বশীল বিবৃতি দৃশ্যমান হয়নি। এসব নিষ্কর্মা তল্পিবাহকরা ভূমিকা রাখতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এসব সংস্থাগুলো টুঠো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। এ হত্যাকাÐ ও হামলার সুরাহা না হলে বিশ্বকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন আহলে সুন্নাত নেতৃবর্গ। ইসরাইলি এসব হামলার মাধ্যমে তাদের সৃষ্ট জঙ্গি সংগঠনকে দিয়ে বিশ্বে নতুন যুদ্ধ তৈরী করার একটি হীন প্রয়াস মাত্র। সাথে সাথে ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে জাতি সংঘের প্রতি আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।