বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস। উত্তরবঙ্গগামী ছাড়াও বিভিন্ন রুটে এসব দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। বুধবার (১২ মে ) সকাল থেকেই ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছে বাসগুলো।
বাসগুলোতে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে বাড়িতে যাচ্ছেন যাত্রীরা। পাশাপাশি শিশুসহ নারী-পুরুষরা খোলা ট্রাক ও পিকআপভ্যানেও বাড়ি যাচ্ছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনায় দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
এদিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে ভোররাত থেকেই ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করটিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যান চলাচল করছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে পরিবহনের ব্যাপক চাপ থাকলেও ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন চলাচল করছে না। তবে বেশি সংখ্যক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে বাড়ি যাচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি গাড়ি সেতু পারাপার হয়েছে। যদিও এবার বাসের সংখ্য ছিল খুবই কম। বুধবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে ৫১ হাজার ৯৪২টি যানবাহন। গত বছর বাস ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন মিলিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছিল।
পিকআপের যাত্রীরা জানান, প্রত্যেক ঈদে বাড়ি যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। তবে এবার ঈদে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণে। এতে ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে খোলা পিকআপে করে বাড়ি যেতে হচ্ছে। এটাও এক ধরনের আনন্দের যাত্রা। বাড়ির সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে পারব।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করছে না। এছাড়া মহাসড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। এতে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।