পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সংক্রমণরোধে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে দেড় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ট্রেন ছেড়ে যেতে শুরু করে। তবে ট্রেন চলাচল শুরুর প্রথম দিনে যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তারা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার আগে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনলাইনে টিকিট কাটছেন যাত্রীরা।
প্রথম দিনে ২৮ জোড়া আন্তনগর, ৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হয়। কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি হচ্ছেনা। টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যায় বিজয় এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে যাত্রী ছিলেন মাত্র ৭২ জন। মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নিয়মে এই ট্রেনে আসন ৩৩১টি। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের চাঁদপুরগামী সাগরিকা ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় ১০৭টি। এই ট্রেনে অর্ধেক আসনের হিসাবে আসন ২২০টি। এছাড়া সকাল ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় কর্ণফুলী। এই ট্রেনেও যাত্রী ছিল কম।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। এছাড়া অনলাইনে টিকিট কেনা অনেকের কাছে সহজ মনে না হওয়ায় টিকিট কম বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এখনো সেভাবে চলবে। এদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও শুরু হয়েছে। নগরীর স্টেশন রোড, বিআরটিসি বাস টার্মিনাল, কদমতলী, শুভপুর, অলঙ্কার, একেখান গেইট, সাগরিকাসহ বিভিন্ন টার্মিনাল ও বাস কাউন্টারগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে। গতকাল সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। নগরীর দামপাড়ার বিভিন্ন কাউন্টার থেকে বিলাসবহুল বাস চলাচলও শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিভিন্ন রুটে যাত্রীর চাপ ছিল। বিভিন্ন রুটে যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছেনা। করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেই যাত্রীবাহী ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হওয়ায় সড়ক-মহাসড়কে মানুষের ভিড়, জটলা বাড়ছে। নগরীতে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। ঈদের পর মার্কেট, বিপণি কেন্দ্র, দোকানপাটও খোলা হয়েছে। চালু ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলের সব ধরনের কল-কারখানা। এরপরও নগরীতে মানুষের ভিড়, জটলা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে না চললে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল করোনা আক্রান্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।