পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শর্ত ভেঙে দূরপাল্লার বাস ঢুকেছে ঢাকায়। সিটি কর্পোরেশনে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হলেও শর্ত ছিলো দূরপাল্লার বাস চলাচল করা যাবে না। কিন্তু গতকাল সোমবার সকাল থেকেই পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে বেশ কিছু দূরপাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া রাজধানীতে চলাচলকারী সিটি বাসে মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রী না পেয়ে বাসগুলোতে একটা করে আসন খালি রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা। তবে যাত্রী পেলে সে নিয়ম আর কেউ মানে নি। তখন গাদাগাদি করেই যাত্রী তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে লকডাউনের তৃতীয় দিনে গণপরিবহনে ছিল চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার-আরোপিত সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ থাকার কথা ছিল গণপরিবহন। তবে দুদিন যেতে না যেতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে গতকাল বুধবার থেকে ঢাকাসহ দেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। নতুন এই সিদ্ধান্তে বাইরের গণপরিবহন সিটিতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে গণপরিবহন চলছে। মূলত সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্যই গণপরিবহন চলাচলে ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে সরকার। গতকাল সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা গেছে, নারায়ানগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। এ প্রসঙ্গে পরিবহন নেতারা বলেন, ট্রাফিক পুলিশের তদারকি কম হওয়ার কারণেই শর্ত ভাঙার সুযোগ পাচ্ছেন বাস মালিকরা। তবে নগরীর বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বলে দাবি করেছেন বাস মালিক সমিতির নেতারা।
এ দিকে রাজধানীর গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের বিষয়েও বেশ অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিটি সার্ভিস বাসগুলোতে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির স্থলে একশ’ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। অন্যদিকে, রাজধানীর লোকাল বাসগুলোতে চলেছে যাত্রীদের আগে ওঠার প্রতিযোগিতা। যাত্রীদের অভিযোগ, ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির পর ১০ টাকার ভাড়া ১৬ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও বাসগুলো ২০ টাকার নিচে যাত্রী তুলছে না। গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ীর ভাড়া মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে ১৫ টাকা। এই ভাড়া শতভাগ বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। পরিবহন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাড়ার বিষয়ে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। পুলিশ খোঁজও রাখে না, কে কতো ভাড়া নিচ্ছে। বরং বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি সবারই জানা বলে দাবি করেন গুলিস্তান- চিটাগাংরোড রুটের কমল পরিবহনের চালক আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, বেশি নিচ্ছি এটা ঠিক। তবে আমাদেরকেও বেশি দিতে হচ্ছে। এক ট্রিপে আগে দেড়শ টাকা দিতে হতো। এখন সেটা আড়াইশ’ হয়েছে।
ভাড়া বেশি চাওয়ায় কয়েকটি বাসে উঠতে গিয়েও নেমে আসেন গুলিস্তানগামী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখান থেকে গুলিস্তানের বাস ভাড়া (ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে) সবসময়ই ১০ টাকা করে। কিন্তু ২০ টাকার কমে বাসে উঠতে দিচ্ছে না হেলপাররা। তিনি বলেন, সরকারের উদ্ভট সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ওপর এমন জুলুম করার সাহস পায় বাস চালকরা। মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আফসানা খান বলেন, আমার অফিস মোহাম্মদপুরে। দ্রæত পৌঁছানোর জন্য অ্যাপে মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে। তাই এদের দ্বারস্থ হয়েছি। আগে গন্তব্যে ১৩০/১৫০ টাকায় যেতে পারতাম। কিন্তু এখন ২০০ টাকার কমে যেতে রাজি না। মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়েই এক বছর ধরে সংসার চালাচ্ছি। এটি বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। এখন তো অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী পাই না। তাই ভাড়া একটু বেশি হতে পারে।
দূরপাল্লার বাস ঢাকায় প্রবেশের বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিকের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোবিন্দ চন্দ্র পাল বলেন, শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। যাত্রাবাড়ী পয়েন্ট দিয়ে বাইরের গাড়ি প্রবেশ করছে কি না সেটা আমরা তদারকি করছি। নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি গাড়ি নিয়ে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।