Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি বন্ধ করে রাখার পরও ঠেকানো যায়নি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঈদযাত্রা। এর প্রেক্ষিতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা কমেছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন মঞ্জুর মোর্শেদ মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চালু হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বিআইডবিøউটিসির ১৫টি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করে পায়ে হেঁটে রিকশা, মিশুক, ট্রাক সিএনজি করে ঘরমুখো যাত্রীরা মাওয়ায় আসছে। এতে যাত্রীদের যেমন অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে তেমনি নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডবিøউটিসির মাওয়া ঘাট ইনচার্জ আল ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে গতকাল সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ডকইয়ার্ডে থাকা শাহ মকদুম রো রো ফেরিটি পরীক্ষামূলকভাবে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। বাংলাবাজার থেকে ফিরে আসলে নিয়মিত চলাচল করবে। ফেরি চলাচল শুরু করায় ঘাটে যাত্রীর চাপ কমে এসেছে।
আবুল হাসান সোহেল মাদারীপুর থেকে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ করে রাখার পরও কাকা ভেজা বৃষ্টির মধ্যে গতকালও পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হতে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের ঢল নামে। দুর্ভোগকে সাথী করে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন তারা। পদ্মা পারাপারের এখন একমাত্র বাহন ফেরি। ফেরিও দিনে বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও জনস্রোতের চাপে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বিআইডবিøউটিসি জানায়।
বিআইডবিøউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ এগিয়ে আসায় চাপ আরও বেড়েছে। দিনে জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি পরিস্থিতির কারণে লোকজনও পার করা হচ্ছে। ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি চলাচল করছে এখন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল যেন থামছে না। সব বাঁধা উপেক্ষা করে মানুষ আসছে। বাঁধভাঙা স্রোতের মত লোকজন ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছে। ফেরি ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। ফেরি ছেড়ে দিলেও ঝুঁকি নিয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে সবাই। কয়েক দিন ধরে এমন চাপ থাকলেও গতকাল সেই চাপ আরও বেড়েছে।
সকালে বৃষ্টিতে খোলা ফেরিতে কাকভেজা হয়েই হাজার হাজার মানুষকে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। এখানে ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেই ছুটছে মানুষ।
গতকাল সকালে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই হয়ে ফেরি এসে ভিড়ছে বাংলাবাজার ঘাটে। যাত্রীদের পাশাপাশি হালকা যানবাহনও রয়েছে কিছু। মাদারীপুরের যাত্রী শাহানুর বেগম বলেন, ফেরিতে ভিড় থাকলেও ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি। একই কথা রুবেল নামের মোস্তফাপুরের এক যাত্রীর।
বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টের বাধাও কাজে আসছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই লোকজন ছুটছে। রাতেও ছিল একই অবস্থা। রাত ৩টা পর্যন্ত ফেরিতে লোকজনের কারণে গাড়ি উঠতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের ডিসি মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মানুষের ঢল থামানো যাচ্ছে না। তবে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডবিøউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় সাড়ে চারশ’ স্পিডবোট ও দুই শতাধিক ট্রলার চলাচল করত। সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু ১৬টি ফেরি চলছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানুষ

২৭ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ