গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশি নির্যাতনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শেরপুরীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গত সোমবার দিনগত রাতে তাকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সিটিটিসির এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম জানান, গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে সহিংস কার্যক্রমে জড়িত থাকায় হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসবাদের জন্য আদালত বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে বেশ কিছু দিন ধরে হলিটিভি২৪ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে গ্রেফতারকৃত হেফাজত নেতাকর্মীদের পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের মনগড়া, আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শক, মানহানিকর ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক গুজব রটিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।
এই ঘটনায় হলি টিভির রানা ম-ল নামে একজনকে গত ২৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী মাওলানা আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গুজব ছড়ানোয় সরাসরি জড়িত।
তিনি আরো বলেন, রানা ম-ল তার ইউটিউব চ্যানেলে সংশ্লিষ্ট ভিডিওসহ একই ধরনের প্রায় ছয় শতাধিক মনগড়া ভিডিও বানায়। রানা তার ‘রানা স্টুডিও’ নামের প্রতিষ্ঠানে মাওলানা আব্দুর রহিমকে দিয়ে বিভ্রান্তিকর, মনগড়া ও উস্কানিমূলক ভিডিওগুলো ধারণ করতেন। পরে এই ভিডিওর সঙ্গে অন্যান্য ভিডিওর কাটপিস সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করতেন। আব্দুর রহিম শেরপুরী দাওরায়ে হাদিস বিষয়ে দাওয়াতুল হক আদর্শ মাদরাসা, বগুড়া পড়াশোনা করেছেন। পেশায় তিনি একজন ইমাম ও ওয়াজকারী। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি হেফাজতের জ্বালাও পোড়াও-কে সমর্থন জানিয়ে ও সহিংসতাকারি হেফাজত নেতারদের মুক্তির জন্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রানার সহযোগিতায় ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী ও অসত্য প্রোপ্যাগান্ডামূলক ভিডিও বানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।