বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. জোবায়ের হোসেনকে (৪৫), কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
হাতিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাতিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভোলার মনপুরা থেকে স্থানীয় কোস্টগার্ড ও পুলিশ সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ওমর ফারুক (৪৫), তার ছোট ভাই রাসেদ (৩২) ও খোকনসহ ৩জনকে আটক করে হাতিয়া থানায় সোপর্দ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৪জনকে আটক করে হাতিয়া থানার পুলিশ।
ওসি আবুল খায়ের বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন চরচেঙ্গা বাজারে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. জোবায়ের হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে একই এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় আরো ৩জন আহত হয়েছে। আহতরা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। আহতরা হলো নিহতের ছেলে জীবন (২২), মেহেদী (২৫), রাজু (৩৫)। আহতের মধ্যে রাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত মো. জোবায়ের হোসেন (৪৫), উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে। সে সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (২১), স্থগিতকৃত নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফুটবল মার্কায় ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিল।
নিহতের ছেলে জীবন অভিযোগ করেন, সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের শ্যালক সন্ত্রাসী আবদুল বাতেন ও তার সহযোগী সুজন, ফকির, জামাল, শাহেদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চরচেঙ্গা বাজারের একটি দোকানে তার বাবাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে, পায়ে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জানান, জেলেদের চাল বিতরণ নিয়ে বাকবিন্ডার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত জোবায়েরের নেতৃত্বে জেলেদের চাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়। তবে তিনি দাবি করেন, ইউপি সদস্য আবদুল বাতেন তার শ্যালক হওয়ায় তার নাম এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।