পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সাপ্তাহিক ছুটি দিনে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার (৭ মে) সকালে এমন দৃশ্য দেখা যায় পাটুরিয়া এবং শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে এ নৌরুটে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকায় ৬টি ছোট ফেরির পাশাপাশি ৪টি বড় ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রেখেছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। সরকারে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছেন যাত্রীরা।
জামাল নামের একজন জানান, ঈদে বাড়িতে যাচ্ছি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেতেই হবে কারণ ঈদ একা ঢাকাতে পারব না। বাবা, মা, ভাইবোন রয়েছে। এক বছর পরে যাচ্ছি। আবেগ আর অনুভূতি আলাদা। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা তো আছেই। তার পরও ৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছি।
খলিল নামে এক যাত্রী জানান, বাবাকে দেখা হয় না ৬ মাস। বাবাকে ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না। অসুস্থ বাবা শুধু আমার জন্য কাঁদে। তাই শত বাধার ভেতরেও যাচ্ছি গ্রামে। দেখা হবে সবার সঙ্গে। স্ত্রী-সন্তানকেও নিয়ে যাচ্ছি।
পাটুরিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, সাপ্তাহিক ছুটি দিন ও অন্যদিকে সামনে ঈদ থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত ও ভাড়া যানবাহনে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাট এলাকায় জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অত্যধিক চাপ পড়েছে। ফেরিতে বিঘিœত হচ্ছে গাড়ি পারাপার। এতে ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী সাত শতাধিক যানবাহন। এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, ঈদ ও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অধিক সংখ্যক যাত্রী ঘাটে আসছেন। লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচÐ চাপে গাড়ি পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।