বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌ-রুটের বিভিন্ন স্থানে চরা পড়ায় শুষ্ক মৌসুমে ১২ ফুট গভীরতা নৌযানগুলোকে ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারা থেকে খুলনা নদী বন্দর পর্যন্ত নৌপথ ঝুঁকিমুক্ত করতে বিআইডব্লিউটিএ’র ১২৫টি বাঁশের মার্কা দিয়ে চরা স্থান চিহ্নিত করেছে। খুলনা থেকে আংটিহারা নৌ সীমান্ত পর্যন্ত ১২২ কিলোমিটার নৌপথে প্রতি মাসে ৪শ’ নৌযান পণ্য পরিবহন করে।
ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার পর খুলনা পর্যন্ত আসতে রায়মঙ্গল, কাছিকাটা, যমুনা ভারাটি, মালঞ্চ, দোবেঁকি, আড়পাঙ্গাশিয়া, শাকবাড়িয়া, সিঙ্গেরনালা, আড়ুয়া শিবসা, চুনকুড়ি, শিবসা, পশুর ও কাজিবাছা নদী অতিক্রম করতে হয়। এসব নদী পথের সিংয়ের নালা, বজবজা, চালনা পল্টনের সামনে, বটবুনিয়া লঞ্চঘাট, কালীবাড়ি লঞ্চ ঘাটের পাশে, কলাগাছিয়া, দোবাকি, মুচিরদুয়ানি নামক স্থানে চরা পড়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ পশ্চিম বদ্বীপ শাখা যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর নৌযান চালকদের কাছে পাঠানো এক সতর্ক বার্তায় চরা পড়া স্থানে সাবধানে চলাচল করতে বলেছেন।
দুর্ঘটনা এড়াতে আংটিহারা থেকে খুলনা পর্যন্ত ১২৫টি বাঁশের মার্কা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৬৫টি ডায়মন্ড মার্কার স্থাপন করা হয়েছে। কলকাতা হলদিয়া বন্দর থেকে চাল, গম, ফ্লাই এ্যাশ, পাথরের গুড়া, ভুট্টা ইত্যাদি পণ্য নৌযানে করে আংটিহারা সীমান্ত অতিক্রম করে খুলনার ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটে পৌঁছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক জালাল উদ্দিন জানান, পূর্ণ জোয়ার ছাড়া এসব স্থানে দিয়ে নৌযান চলাচল করা সম্ভব হয় না। আংটিহারা থেকে বাংলাদেশি পাইলট এর সাহায্যে খুলনার ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটে পণ্য বোঝাই নৌযান আনতে হয়।
৭ নম্বর ঘাটে অবস্থানরত ভারতীয় জাহাজ এমভি আরতির মাস্টার রফিকুল শেখ জানান, কলকাতার খিদিরপুর থেকে খুলনা নদী বন্দর পর্যন্ত আসতে তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে। তিনি আরো জানান, শাকবাড়িয়া, বটবুনিয়া, চালনা, লবনচরার কাছে বিভিন্নস্থানে চরা পড়েছে। দুই হাজার মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে তিনি খুলনা বন্দর এসেছেন। আংটিহারা থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌ পথ চরার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতীয় অপর একটি জাহাজ প্যাসিফিক নেভিগেশনের মাস্টার শিপন সাহা জানান, খিদিরপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত আসতে পাঁচ দিন সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, জোয়ার ছাড়া ১২ ফুটের নৌযান চালানো সম্ভব হয় না। এছাড়া বিদেশি চালকদের সন্ধ্যার পরে জাহাজ চালানো নিষেধ। তিনি ১ হাজার ৭৫৫ মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে নভেম্বরের প্রথম দিকে নদী বন্দরে এসে পৌছান। চাল খালাস করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যায়। ভারতের জাহাজ চালকরা জানিয়েছেন, চরার কারণে এ নৌরুট অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঝুঁকি এড়াতে বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন স্থানে বাঁশের মার্ক দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।