Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রমজানে সেহেরি-ইফতারে শসা

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২১, ১২:০৪ এএম

শসা খুব সাধারণ ও সুপরিচিত একটি সবজির নাম। সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ উৎপাদিত সবজি হলো শসা। কম ক্যালোরি ও ফ্যাটের কারণে শসা আমাদের খাবারের তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। শসা এমন একটি ফল যা রমজানের সেহেরি-ইফতারি ছাড়াও গায়রে রমজানে (রোজার মাস ছাড়া) যে কেউ যে কোন সময় অনায়াসে খেতে পারে। এমন কি ডায়বেটিস রোগিরাও। রমজান মাসে রোজাদারগন সেহেরি ও ইফতারে বেশি করে শসা খাওয়া দরকার। শসা’তে ভিটামিন কে, সি এবং বিভিন্ন বি ভিটামিন এর চমৎকার উৎস।

এ ছাড়া এতে রয়েছে সোডিয়াম, কপার, অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্যাট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকার এর মত বড় বড় পুষ্টি উপাদান। শসা স্বাস্থের জন্য যেমন খুব বেশি উপকারি, তেমনি রয়েছে মহা ঔষুধি গুনের উপাদান। রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিক ভাবেই দুর্বলতার চাপ পড়ে থাকে। তাই ইফতার এবং সেহেরির সময় খাদ্য তালিকায় শসা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে থাকে। সেহেরি- ইফতারিতে শসা খাওয়ার ফলে রোজাদারের শরীরের পানি শুন্যতা ও মুখের র্দুগন্ধ কমাতে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়া সহ অনেক বড় বড় রোগ নিরাময়ে সহযোগিতা করে শসা।

পুষ্টি উপাদানের ভরা ফলটির কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা জেনে নিই।
শরীরে পানির যোগান দেয় শসা: শসার ৯৫% উপাদান হচ্ছে জলীয়, যা আমাদের শরীরে শুষ্কতা রোধ করে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া শসা ভিটামিন সি ও এ সহ ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিড এর একটি বিরাট উৎস যা আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন নির্গত করতে সাহায্য করে। তাই রোজাদারের শরীরকে সতেজ রাখতে শসা’র বিকল্প নেই।

ক্যান্সার প্রতিরোধে শসা : শসার আরও একটি অন্যতম গুণ হল ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। এর অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান আমাদের শরীরকে ক্যান্সারের ক্ষতিকর সেল গড়ে তুলতে বাধা প্রদান করে। তাই ক্যান্সার রোধে কাঁচা শসা চিবিয়ে অথবা জুস করে খাওয়া যায়।

মূখের দুর্গন্ধ দূর করতে শসা : শসা মূখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা শসা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া শসা পেটের অতিরিক্ত গ্যাস কমিয়ে দেয় যা কিনা শ্বাসে মূখে দুর্গন্ধ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। তাই এসব দুর্গন্ধ দূর করতে কাঁচা শসা চিবিয়ে খাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয় শসা : শসা’তে শরীরের ইনসুলিন বৃদ্ধিকারী হরমোন বিদ্যমান। যার কারণে শসা খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের শরীরে আপনা-আপনি ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই শরীরে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা প্রতিদিন কাঁচা শসা বা জুস করে খেতে পারে।

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ রাখে শসা : শসা’তে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার বিদ্যমান। যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা ব্লাড প্রেশার নিয়ে যন্ত্রনাতে আছেন তারা কাঁচা শসা চিবিয়ে বা জুস করে খেতে পারেন। ভাল উপকার পাওয়া যাবে।
এতোসব স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য শসাকে সুপারফুডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই শরীর ভাল, সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শসাকে অন্তর্ভুক্ত করা চাই।

কাজী এম এস এমরান কাদেরী।
সাংবাদিক ও কলাম লেখক,
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
০১৮১২৮১১১৯৭।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেহেরি-ইফতারে শসা
আরও পড়ুন