মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তরপ্রদেশে ত্রিপ্তর পঞ্চায়েত ভোটে ধরাশায়ী হল বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের ৭৫টি জেলা পঞ্চায়েতের (জেলা পরিষদ) ৩ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে আপনা দল (এস)-এর মত জোটসঙ্গীদের নিয়ে বিজেপি পেয়েছে ৯০০ এর সামান্য বেশি আসন। সহযোগীদের নিয়ে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ১ হাজার পেরিয়েছে। বিএসপি প্রায় ৩১৫ এবং কংগ্রেস ১২৫টির মত আসনে জিতেছে। রাষ্ট্রীয় লোকদল এবং আম আদমি পার্টি প্রায় ৭০টি করে আসনে জিতেছে। বাকি আসনগুলি দখল করেছেন স্বতন্ত্র এবং অন্যেরা। পঞ্চায়েত ভোটে জয় পেয়ে সমাজবাদী পার্টি এখন ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বুধবার সমাজবাদী পার্টি (এসপি) দাবি করেছে যে, ফলাফলগুলি ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির ‘ধর্মীয় মেরুকরণের’ বিরুদ্ধে রায় ছিল। বিজেপি এসপির দাবির বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে যে বিধানসভা নির্বাচনের তারাই জিতবে। বিজয় ঘোষণা করে রাজ্য সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দ্র চৌধুরী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে জেলা পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন জিততে দলটি ‘বিজেপির কারচুপির’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি অপচয় করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বরং ২০২২ সালের ইউপি বিধানসভা নির্বাচনে আরও চিত্তাকর্ষক লড়াইয়ে ব্যয় করার জন্য শক্তি সঞ্চিত রাখব।’
রোববার থেকে উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের গণনা পর্যায়ক্রমে শুরু হয়েছে। জেলা পঞ্চায়েতে ৩ হাজার ৫০টি ক্ষেত্র (ব্লক) পঞ্চায়েতে প্রায় ৭৫ হাজার এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭ লাখেরও বেশি আসন রয়েছে। যদিও তিনটি স্তরে লক্ষাধিক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। লড়াইয়ে রয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ প্রার্থী। গণনার প্রবণতা বলছে, বহু ক্ষেত্রেই ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিজেপি এবং অখিলেশ শিবিরের দাবি জয়ী সতন্ত্রদের অধিকাংশই তাদের সমর্থক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসী, ‘রাম জন্মভূমি’ অযোধ্যা এবং শ্রীকৃষ্ণের মথুরা জেলা পঞ্চায়েতে বিজেপি হেরে গিয়েছে। বারাণসী ও অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টি এবং মথুরায় সদ্যপ্রয়াত অজিত সিংহের দল আরএলডি সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জেলা গোরক্ষপুরে বিজেপি-র ফল তুলনামূলক ভাবে ভালো। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীর জেলা পঞ্চায়েতের ৫২টি আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি ১৪, কংগ্রেস ১০ এবং বিজেপি-৯টি আসনে জিতেছে। বাকিগুলি গিয়েছে সতন্ত্রদের দখলে। আগামী বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে এই ফল পদ্ম শিবিরকে চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, তাদের প্রার্থীরা জয়যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের প্রার্থীদের শংসাপত্র হস্তান্তর করছে না। বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি ছাড়াও আম আদমি পার্টিও উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে বলে দাবি করেছে। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেছেন, আপ-সমর্থিত ৭০ জন প্রার্থী জেলা পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আপের ২০০ জনেরও বেশি সদস্য গ্রাম প্রধান পদ পেয়েছেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৩ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি পঞ্চায়েত পদের জন্য ফলাফল ঘোষণা করতে ভোট গণনা করা হচ্ছে। বাকি পদগুলি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।