পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোর সড়কের জোড়া বীর গ্রাম এলাকায় ঘাতকের পিস্তলের গুলিতে নিহত হলেন বগুড়ার বাবা হুজুর বলে সবার কাছে পরিচিত মোজাফফর হোসেন (৫৬)। নিহত মোজাফফর হোসেন বগুড়ার সিংড়া উপজেলার সুকাশ গ্রামের মরহুম সাইদুল আমিনের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বগুড়ার নিশিন্দারা কারবালা এলাকায় আল জামিয়া আল আরাবিয়া হেদায়া কওমি হাফেজী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। সকাল পৌনে ১০ টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে বগুড়ার দিকে আসার পথে উল্লেখিত জোড়া বীর এলাকায় পরিত্যক্ত কৃষি কলেজের পাশে মোটরবাইকের দুই আরোহী তাকে বহনকারী সিএনজিটি থামায়। এরপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরবাইকের আরোহীদের একজন খুব কাছে থেকে তার বুকের বাম পাশে গুলি করে।
নির্ভুল নিশানার কারণে অটোরিক্সার চালক ও অন্যান্য যাত্রীরা অক্ষত থাকেন। গুলিতে লুটিয়ে পড়ার পরপরই কমান্ডো স্টাইলে মোটরবাইকে চড়ে ৩/৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুই ঘাতক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত মোজাফফরকে শহীদ জিয়া মেডিকেলে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয় ।
শাহজাহানপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মোজাফফর হোসেনের সাথে থাকা সিএনজির একজন নারী ও পুরুষ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা ঘাতকদের সোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
এদিকে ঘটনাটির গুরুত্বের বিচারে সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থা ছায়া তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর দুপুরে নিশিন্দারা কারবালা এলাকায় গিয়ে দেখা করোনার কারণে বন্ধ মাদরাসায় তালা দেয়া আছে। যে বাড়িতে তিনি ৭ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন ওই বাড়িটিও তালা দেয়া। বাড়ির মালিক জানান, তার বড় স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে সিংড়াতেই থাকেন। এখানে তিনি ছোট স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তিনি একজন ধন্যাঢ্য ব্যক্তি সিংড়ায় তার বিপুল পরিমাণে জায়গা জমি আছে। ধান কাটার সময় হওয়ায় তিনি ছোট স্ত্রীকে নিয়ে সিংড়া গিয়েছিলেন।
নিশিন্দারা এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক ব্যক্তি জানালেন, বাবা হুজুর জি¦ন ভ‚ত ছাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে দোয়া, তাবিজ কবজ, ঝাড় ফুঁ দিতেন। এ কারণে সবার কাছে তিনি বাবা হুজুর বলে পরিচিত হয়ে উঠেন। এলাকায় তিনি জনপ্রিয়ও ছিলেন ।
কেন খুন হলেন বাবা হুজুর সে প্রসঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পারিবারিক বিষয় ঝাঁড় ফুঁকসহ বিভিন্ন দিকে সামনে রেখে হত্যার কারণ জানার চেষ্টায় আছে পুলিশ। চলছে নিবিড় তদন্ত কার্যক্রম। এদিকে সিংড়া চলনবিল ও নন্দীগ্রাম শেরপুর অঞ্চলে সম্প্রতি সর্বহারা পার্টির ব্যাপক তৎপরতা শুরু হওয়ায় অনেকের ধারণা এই হত্যাকান্ডের পেছনে সর্বহারা দলের হাত থাকতে পারে। কারন যে ভাবে কমান্ডো স্টাইলে হত্যা মিশন সম্পন্ন করা হয়েছে সেটা কেবল সর্বহারাদের পক্ষেই সম্ভব বলে জানান একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।