মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিধানসভা ভোটে নজরকাড়া সাফল্যের পর তৃতীয় বার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও বড়সড় চমক দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ দেখতে পাওয়া যাবে। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় আঞ্চলিক ভারসাম্যও বজায় রাখা হবে।
সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে সব চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ভোটে জিতলেও বাদ যেতে পারেন বেশ কয়েক জন পুরোনো মন্ত্রী। তবে এ বার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের এক বিদায়ী মন্ত্রীর কথায়, ‘এ বার যারা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে এমন কাউকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।’
বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তার আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী-সহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা মহামারী এবং আম্পান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরেও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দপ্তরও সামলেছেন।
২০১১ ও ২০১৬ সালে পর পর দু’বার খড়দহ থেকে ভোটে জেতা অমিত মিত্র এ বার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোটে লড়তে রাজি হননি। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক, অমিত মিত্রকে বুঝিয়ে রাজি করানো, পরে তাকে জিতিয়ে আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই, মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই অর্থ দপ্তর রেখে দিতে পারেন। তিন, অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। চার, অনেকে আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
শুভেন্দু অধিকারী, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেবের মতো উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা এ বার ভোটে জিততে পারেননি। আর এক মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা আবার টিকিটই পাননি। সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রী হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নির্বাচিত এক চিত্রতারকার নাম শোনা যাচ্ছে। তা ছাড়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ থেকে তিন-চার জন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। নতুন মন্ত্রী হিসেবে শোনা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার এক যুবনেতার নামও। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।