Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাইফুলকে প্রধান আসামি করে মামলা : দুটি পাসপোর্ট জব্দ

বিশ্বনাথে স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ৮:১৯ পিএম

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রকাশ্যে গুলি করে স্কুল ছাত্র সুমেলকে হত্যায় ঘটনায় প্রবাসী সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, (মামলা নং-০৪)। মামলায় ২৭জনকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরো ১৫/২০জনকে। এ হত্যার ঘটনায় সাইফুল বিদেশে পালিয়ে না যায় সেজন্য পুলিশ তার বাড়ি থেকে দুটি পাসপোর্ট জব্দ করেছে। পাসপোর্ট জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি শামীম মূসা জানান। খুনি সাইফুল আলম চৈতন নগর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে। নিহত স্কুলছাত্র সুমেল চৈতনগর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র।

এদিকে গতকাল বিকেলে সুমের লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত শেষে খুনি সাইফুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করে বিশ্বনাথ থানা গেইটে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বিক্ষোদ্ধ জনতা। পড়ে তার নিজ বাড়ি যাওয়ার পর সেখানে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। লাশ বাড়িতে আসার খবর শোনে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও সুমেলের সহপাঠীদের কান্নায় সেখানকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়েছে উঠে। সুমেলের প্রাণহীন মুখ দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আসরের নামাজের পর সুমেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাপন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত সাংসদ মোকাব্বির খান গুলি করে স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গ, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা বাহিনীর প্রধান সাইফুল ও তার বাহিনী নিয়ে চৈতননগর এলাকায় কৃষকদের মালিকানা জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে কৃষকরা বাধা দেন। এতে সাইফুল আলম উত্তেজিত হয়ে সাথে থাকা একটি বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে উপর্যপুরী গুলি করে। এতে স্কুল ছাত্র সুমেল, তার পিতা মানিক মিয়া, চাচা প্রবাসী মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুরুত্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সুমেলের মাথা, চক্ষু ও বুকে ৫/৬টি গুলি লাগে। তার পিতার মাথায় গুলি থাকাবস্থায় তিনি সুমেলকে কুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। বাকি গুলিবিদ্ধদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসি শামিম মুসা ইনকিলাবকে বলেন, আসামিদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ