Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঠিয়ায় সুদি কারবারিদের দৌরাত্বে নিঃস্ব হাজারো পরিবার

পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ৭:৪২ পিএম

পুঠিয়ায় সুদি কারবারিদের দৌরাত্বে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার। বর্তমানে এসব পরিবার সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সুদের বেড়া জাল থেকে বের হতে তাদের ভিটামাটিসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করেও রেহাই হচ্ছে না বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসন এসব সুদি কারবারিদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাদের দৌরাত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা শতাধিক সুদি কারবারি রয়েছে। এছাড়াও তাদের দালাল রয়েছে কয়েক’শ। এসব সুদি কারবারিরা সরকারি দলে ছত্রছায়ায় তাদের অবৈধ ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে। একারণে এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেনা। সুদি ব্যবসায়ীরা হাট বাজারকে কেন্দ্র করে এ ব্যবসা গড়ে তুলেছে। হাটের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ সুদের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে। উপজেলার সবচেয়ে বেশি সুদের টাকা লেনদেন হয় ধোপাপাড়া বাজারে। এছাড়াও ঝলমলিয়া হাট, বানেশ্বর হাট, মোল্লাপাড়া হাট, কার্তিকপাড়া হাট ও উপজেলা সদরে চলে সুদি ব্যবসায়ীদের রাজত্ব। এসব সুদি ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, ও কৃষক শ্রেণী মানুষদের কাছে সুদের টাকা দিয়ে থাকে। কেউ টাকা নিতে চাইলে জমির কাগজ, সাদা স্ট্যাম্পের ও চেকের পাতা সই করে টাকা নিতে হয়। এসব সুদি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদে টাকা নিতে হয়। ক্ষেত্র ভেদে সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। সুদের টাকা সময় মত পরিশোধ করতে না পারলে চক্র সুদ দিতে হয়। সুদি ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী চুক্তি না করলে কাউকে টাকা দেওয়া হয় না। চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিলেও অনেক সময় সাদা স্ট্যাম্পে তাদের ইচ্ছে মত সুদের পরিমাণ বসানো হয়। এতে সুদি কারবারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে অনেক পরিবার। সময় মত সুদের টাকা পরিশোধ করতে বার্থ হলে এসব সুদি ব্যবসায়ীদের দালাল বাহিনী নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এ কারণে ভিটেমাটি বিক্রি করে দেশান্তর হয়েছেন কয়েক’শ পরিবার। এসব সুদি ব্যবসায়ীরা হঠাৎ বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছে। সুদের ফাঁদে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ থেকে ১২ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এছাড়াও সুদের বেড়া জালে আটকে রয়েছে হাজারো পরিবার।

এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস পিএএ জানান, সুদের বিষয়গুলি আমি শুনেছি। সুদ ব্যবসা একটি সামাজিক সমস্যা। এর থেকে আমাদের সকলকে সচেতন থাকা উচিত। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজশাহী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ