মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ চলছে দেশজুড়ে। এরই মধ্যে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে দেশটির অন্যতম বিদ্রোহী দল কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)। আজ সোমবার সকালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনের মোমাউক শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজকে নিশ্চিত করেছে কেআইএ।
ইরাবতী নিউজকে কেআইএর তথ্য কর্মকর্তা কর্নেল নাও বু জানান, সোমবার সকালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী মোমাউকে বিমান হামলা শুরু করলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে কেআইএ। এ সময়েই কেআইএ সেনাদের গোলায় ভূপাতিত হয় হেলিকপ্টারটি।
নাও বু বলেন, ‘মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও দু’টি যুদ্ধবিমান সোমবার সকাল থেকে মোমাউকে বিমান হামলা শুরু করেছিল। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে কেআইএ সেনারা হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। হেলিকপ্টারটির পরিণতি দেখে যুদ্ধবিমানগুলো পরে পিছু হটে যায়।’
মোমউকের স্থানীয় একজন বাসিন্দা ইরাবতী নিউজকে বলেন, ‘হেলিকপ্টারটির লেজের দিকের পাখায় গোলার আঘাত লেগেছিল। তারপর সেটি কংলাউ গ্রামের দিকে ভূপাতিত হয়। সোমবার ভোরে আমাদের ঘুম ভেঙেছে গুলি ও গোলার শব্দে। এখানের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।’
গত ১১ এপ্রিল থেকে কাচিন রাজ্যে কেআইএ এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়। ওই দিন মোমাউকে কেআইএর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা করেছিল সামরিক বাহনী।
এর জবাবে ২৯ এপ্রিল দুপুরে মোমাউকের ভামো বিমানবন্দরে হামলা করে এর ক্ষয়ক্ষতি করে কেআইএ। এই বিমানবন্দরটি মিয়ানমারের বিমানবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
মোমাউক শহরটির অবস্থান কাচিন প্রদেশের আলাউ বাম পাহাড়ের পাদদেশে, চীনের সীমান্তঘেঁষা এলাকায়। পাহাড়টির একপাশে মিয়ানমার, অন্যপাশে চীন। কেআইএর সদর দফতরও ওই পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একজন বাসিন্দা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, গ্রামের একটি মাঠে কামানের গোলার আঘাতে গুরুতর আহত চার ব্যক্তি হাসপাতালে মারা গেছেন।
১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এসব লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে আছে। প্রায় প্রতিদিন দেশজুড়ে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।