মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়ার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ভূমিধস বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দলটি। গেরুয়া হিন্দুত্ববাদ রুখে দিয়ে তার এই বিজয় স্পষ্ট হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে আগাম অভিনন্দনের ঢল নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অভিনন্দন বন্যায় ভাসছেন মমতা।
ইতোমধ্যে ভারতের অনেক রাজ্যের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু কাশ্মিরের মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহ।
নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দুত্ববাদি দল বিজেপির সর্বশক্তি দিয়ে আগ্রাসী প্রচারণা সত্ত্বেও মমতা তাকে কৌশলে, জনগণের ভালবাসা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই বিশাল জয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
অভিনন্দন জানিয়ে মোঃ আলমগীর হোসাইন লিখেছেন, ‘‘টানা তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন প্রিয় মমতা ব্যানার্জি দিদি, আবারো পশ্চিমবঙ্গের সরকার গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মানুষটির কথাবার্তা এবং রাজনৈতিক আদর্শ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, যদিও আমি বাংলাদেশী তার পরেও মমতা ব্যানার্জি আমার অনেক পছন্দের একজন মানুষ, শুধু উনার আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে উনি পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান-হিন্দু সবার কাছে সমান জনপ্রিয়, ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন দিদি।’’
মোঃ শাহজালাল শিপলু লিখেছেন, ‘‘এ অঞ্চলের সবচাইতে বড় সাম্প্রদায়িক বিজেপির চাইতে আপনি এবং আপনার দল তৃণমূল অনেক উত্তম! কলকাতার মুসলমানদের প্রথম পছন্দ আপনি এবং আপনার দল! বাংলাদেশের স্বার্থের সাথে ভারতের অনেক অমীমাংসিত বিষয় থাকলেও, তারপরেও অসাম্প্রদায়িক আপনার বিজয়ে বাংলাদেশের সাধারণ ও শান্তিপ্রিয় জনগণ সন্তুষ্ট। আপনি এবং আপনার দলকে অভিনন্দন। আপনাদের পথ চলা আরো দীর্ঘায়িত হোক!’’
অভিনন্দন বার্তায় ফিরুজ আহাম্মেদ লিখেছেন, ‘‘মমতাকে হটাতে হলে বিজেপিকে আরও এক হাজার বার জন্ম নিতে হবে,কারণ সাম্প্রদায়ীক মনোভাবাপন্ন অচেতন রাজনৈতিকতা ও সহিংস হয়ে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার মেরুদণ্ডহীন পরিকল্পনার শাসকরা বরাবরই পরাজিত হয়েছে।’’
এম এ জলিল আহমেদ লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সকল জনগণের প্রতি প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল, বিপুল ভোটে মমতা দিদিকে বিজয়ী করার জন্য। আমার বিশ্বাস ছিল, পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণ ধর্মীয় উগ্রতা পছন্দ করে না। আর তাই তারা উগ্রবাদী বিজেপিকে ভোট দেয়নি।’’
বিজেপির পরাজেয় খুশি প্রকাশ করে মনিরুজ্জামান খান লিখেছেন, ‘‘বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির পরাজয় মানবজাতির জন্য আশার আলো, তবে মমতা দিদি কি পারবে সংকীর্নতা থেকে উঠে এসে এপার বাংলার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করতে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে দিতে।’’
মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন লিখেছেন, ‘‘অভিনন্দন মমতা ব্যানার্জিকে। ওনার ভিতরে দারুণ এক নেতৃত্ব লুকিয়ে আছে? তবে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেনো পশ্চিমবঙ্গকে ছুতে না-পারে,সেই প্রত্যাশাই করি আমরা বাংলাদেশ থেকে। আর মজার বিষয় হচ্ছে!হিন্দু মুসলিমকে তিনি যেভাবে আজও এক করে রেখেছেন,তা সত্যিই খুব অসাধারণ।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।