বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদক মামলায় ছয় বছর সাজা হয় হাসিনা আক্তারের। এক বছর চার মাস ধরে তার সাজা খাটছেন হাছিনা বেগম। তাদের দুজনের নামে আংশিক মিল। আর দুইজনের স্বামীর নামও একই। এই কারণে পুলিশ হাছিনা বেগমকে ধরে কারাগারে পাঠায়। বিষয়টি স¤প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত ৫ম আদালতের নজরে আনেন এক আইনজীবী। কারাগারে থাকা হাছিনা বেগমের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ায়। তিনি হামিদ হোছেনের স্ত্রী। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা আক্তার একই এলাকার ইসমাইল হাজি বাড়ির হামিদ হোসেনের স্ত্রী।
আদালত সূত্র জানায়, কর্ণফুলী থানার দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। আসামি হাসিনা আক্তার ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি এক ছেলে ও এক মেয়ে শিশু নিয়ে কারাগারে যান। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে একই বছর ২৭ নভেম্বর তিনি মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর ৫ম আদালতের বিচারক রায়ে ছয় বছরের সশ্রম কারাদÐ ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদÐের আদেশ দেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, প্রকৃত আসামি হাসিনা আক্তার মামলার সাজা হওয়ার আগে ২০১৭ থেকে প্রায় নয় মাস কারাগারে ছিলেন। সাজা হওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে হাছিনা বেগম কারাগারে আসেন। কারা রেজিস্ট্রারে থাকা দুজনের ছবির মিল নেই। হাছিনা বেগমের ছেলে শামীম নেওয়াজ বলেন, এক রাতে হঠাৎ করে টেকনাফ থানা পুলিশ বাড়ি থেকে তার মাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা কখনো ছিল না। এরপর থেকে গত ১ এক বছর সাড়ে ৪ মাস যাবত কারাগারে। তার মা এখন কারাগারেই অসুস্থ। পানের বরজে কাজ করে সংসার চালাতেন হাছিনা। অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, হাছিনা বেগম মামলার প্রকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নয় টেকনাফ থানা পুলিশ প্রতিবেদনে দিয়েছে। এ প্রতিবেদন দাখিল করে তার জামিন চাওয়া হয়েছে। আদালত বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।