Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সিংড়ায় ঘর বরাদ্দে অনিয়ম-দূর্নীতি তুলে ধরায় সাংবাদিককে মারপিট

অভিযোগের তীর ছাতারদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

সিংড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২১, ১১:৩৪ এএম

নাটোরের সিংড়ায় গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম-দূর্নীতি তুলে ধরায় খলিলুর রহমান নামের এক সাংবাদিককে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। খলিলুর রহমান দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি। অভিযোগের তীর ছাতারদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সিংড়া উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, মুজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দে সিংড়া উপজেলার ১১নম্বর ছাতারদীঘি ইউনিয়নের ৬০জন ভূমিহীনের তালিকা জমা দেন ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ। ২৮ এপ্রিল ছাতারদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভূমিহীনদের বরাদ্দকৃত ঘরের তালিকার বিষয়ে গণশুনানী করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম.এম সামিরুল ইসলাম। গণশুনানীতে ঘর বরাদ্দে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বজপ্রীতি ও অনিয়ম-দূর্নীতি অভিযোগ তুলে ধরে সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, পাওটা গ্রামের সাবিনার বাড়ি থাকলেও তাকে আবারও ঘর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আব্দুর গফুরের বাড়ি অত্র ইউনিয়নে না হওয়ার পরও তার নামে ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। পরে ইউএনও ঘর দুটি বাতিল করে দেন। এনিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শুনানী শেষে পাওটা বাজারে ওই সাংবাদিককে প্রকাশ্যে দেখে নেয়ার হুমকি দেন চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ। ৩০এপ্রিল সাংবাদিক খলিলুর রহমান পেশাগত কাজে ওই এলাকায় গেলে একডালা বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ের সামনে তার পথরোধ করে চেয়ারম্যানের মোটর সাইকেল চালক মিন্টু প্রামানিক। এসময় চেয়ারম্যানের সামনে তাকে মারপিট মারপিট করা হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, গণশুনাণীতে অনিয়মের প্রতিবাদ করার চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ’র নির্দেশে বৃহস্পতিবার তাকে মারধর করেছে ইউপি চেয়ারম্যানের মোটর সাইকেল চালক মো. মিন্টু প্রামানিক, শাহিন মাস্টার ও মো. ধলু। তবে অভিযুক্ত মো.শাহিন মাস্টার এর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘর বরাদ্দে অর্থ নেয়া হয়েছে এমন প্রচার করায় তার সাথে রাগারাগি হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ বলেন, আমি তো তাকে মারপিট করতে দেখেনি। সে সন্ত্রাসী ছেলে। মাদকেও সে আসক্ত। তার অপকর্ম নিয়ে সালিস মিমাংসা করা হয়েছে। শুনানীতে তার বোনের ঘর বরাদ্দের বিষয়ে বিরোধিতা করলে তাকে কিছু কথা বলা হয়েছে।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি চেয়ারম্যান

১৭ জানুয়ারি, ২০২২
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ