মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেই উড়িয়ে দেওয়া হয় পোস্ট। ফেসবুক-ট্যুইটারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নতুন নয়। কৃষক আন্দোলন এবং করোনা সঙ্কটের প্রথম পর্যায়ে তার প্রমাণ মিলেছিল। বুধবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইস্তফার দাবি ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে। রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয় হ্যাশট্যাগ ‘রিজাইনমোদি’। এরপরেই আচমকা সেই পোস্টের বন্যা থামিয়ে দেয় ফেসবুক। সাময়িকভাবে ব্যবহারকারীদের থেকে লুকিয়ে ফেলা হয় নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগটিকে। আটকে দেয়া হয় এরকম ১২ হাজারের বেশি পোস্ট।
ফেসবুকের এ পদক্ষেপের পরই নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। মোদি সরকারের নির্দেশেই তারা এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরে অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সাফাই দেয় মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা। তাদের দাবি, ভুলবশত সাময়িকভাবে বøক করা হয়েছিল হ্যাশট্যাগটি। ভারত সরকার এমন কোনো নির্দেশ দেয়নি। অভিযোগ খারিজ করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকারও।
যদিও এ ‘ভুলে’র জন্য ক্ষমা চায়নি ফেসবুক। এক মার্কিন নাগরিকের ট্যুইটের জবাবে সংস্থার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, ‘ওই হ্যাশট্যাগটি ভুলবশত অস্থায়ীভাবে বøক করা হয়েছিল। ভারত সরকারের নির্দেশে নয়। সেটি স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’
গোটা ঘটনায় ফেসবুক যে বেশ ব্যাকফুটে তা স্পষ্ট। মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থার সঙ্গে মোদির ‘সুসম্পর্ক’ নিয়ে আঙুল কম ওঠেনি। বারবার দেখা গেছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সত্তে¡ও বিজেপি নেতার পোস্ট মোছেনি ফেসবুক। আবার বিনা কারণেই বিজেপি-বিরোধী পোস্ট মুছে দেয়া হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই সংস্থার সাফাই ছিল একটাই ‘ভুলবশত’ হয়ে গেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ভারতকে। রোজ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। হাসপাতালে বেড-অক্সিজেন নেই। শ্মশানে জ্বলছে গণচিতা। তারই প্রেক্ষিতে নেট নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ মহামারি থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদি। বরং তার বেশি নজর বঙ্গ-ভোটের দিকে!’ আর তাই মোদির পদত্যাগের দাবিতে সরব হন তারা। এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও মোদি সরকারের দিকে আঙুল তোলা হয়। তারপরেই আসরে নামে কেন্দ্র। ট্যুইটারে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়, সরকার এ হ্যাশট্যাগ সরিয়ে দেয়ার কোনও নির্দেশ দেয়নি।
গত বছর হ্যাশট্যাগ ‘শিখ’ লেখা পোস্টগুলো সরিয়ে বিতর্কে জড়ায় ফেসবুক। পরে অবশ্য তারা ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছিল, কখনও সংস্থার নিজস্ব রিভিউ টিমের ভুলে, আবার কখনও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গলদ এর জন্য দায়ী। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের দায়ে গত আগস্টে পদত্যাগ করতে হয় সংস্থার ভারত, মধ্য এশিয়ার নীতি নির্ধারক টিমের প্রধান আঁখি দাসকে। কিন্তু, মোদির পদত্যাগ চেয়ে করা পোস্টগুলো ঠিক কার ভুলে সরে গিয়েছিল, তা স্পষ্ট করেনি ফেসবুক। সূত্র : বর্তমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।