বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রমজানুল মোবারকের আজ ১৭ তারিখ। আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস।রমজান মাসের আজকের দিনটি অসাধারণ তাৎপর্যের অধিকারী। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরি দ্বিতীয় সনের সতেরোই রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই ‘বদরযুদ্ধ’।
সেদিন বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল আল্লাহর একত্ব ও তার পাঠানো রাসূলের প্রতি অবিশ্বাসী বিশাল সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসী মুষ্টিমেয় একটি দলের প্রত্যক্ষ সশস্ত্র লড়াই। তাতে মানুষের সব ধারণা নাকচ করে দিয়ে প্রায় উপকরণহীন মুষ্টিমেয় দলটিকে জয়ী করেন মহান রাব্বুল আলামিন। সত্য-মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দ্বের ইতিহাসে সংযোজিত হয় নতুন অধ্যায়। তাই শুধু ইসলামের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব-সভ্যতার ইতিহাসে এ দিনটি অনন্য অবস্থান দখল করে রেখেছে।
বিশ্বমানবকে মুক্তি ও কল্যাণের শাশ্বত বাণী শোনাতে এবং দিশেহারা বনি আদমকে সত্য-সুন্দর পথের সন্ধান দেয়ার জন্য ধূলির ধরায় তাশরিফ এনেছিলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শ্রেষ্ঠ হাবিব আখেরি নবী রহমাতুল্লিল আলামিন। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটির স্মরণে এবং বদরের শাশ্বত শিক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ফেসবুক অনেকেই বদরের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ফেসবুকে বদরের যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আহমেদ হোসাইন লিখেছেন, ‘‘আজ সতেরো রমজান। ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের এই দিনে অর্থাৎ দ্বিতীয় হিজরির সতেরো রমজানুল করিম, কুরাইশদের গর্ব ও অহংকারের প্রতীক সরদারে দো জাহান, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে তিনশত চৌদ্দ জন মুসলমান সৈনিক এমন কী রণাঙ্গনে সাদা পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় সকল ফেরেস্তাদের বাহিনীও শরিক হয়েছিলেন। ওই দিন ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল (আ.) হলুদ পাগড়ি পরে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মূলত বদরের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম বিজয় ছিল। ইয়াওমে বদরকে পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ পাক ইয়াওমুল ফোরকান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বদরের যুদ্ধে মাত্র তিনশত চৌদ্দ জন মুসলিম যোদ্ধা সহ নবী করিম (সা.) কুফুর এবং শিরকের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন।’’
বদরের শিক্ষা নিয়ে কবিতার ছন্দে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,
‘‘বদরের শিক্ষা এই,
যুদ্ধ করো আল্লাহর রাহে
শত্রু যত বড়, কিম্বা হোক যেই।
যুদ্ধ তোমার,
বিজয় আল্লাহর
শহীদ কিংবা গাজী
লাভ দুদিকেই।
তুমি মুসলিম
পাবেনা কখনো ভয়,
তুমি মুসলিম
ডুববে না হতাশায়,
বিশ্বাস তোমার শক্তি
সাহস তোমার ভক্তি
আল্লাহ আছেন সহায়।
শহীদ কিংবা গাজী
জয় তোমারই জয়।’’
তানিম লিখেছেন, ‘‘আমি আহ্বান করি আজকের মুসলিম জাতিকে সেই দিনের বদরি মুসলমানদের মতো আমাদেরও ইমানি পরীক্ষা দিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব ইসলাম ও ইমান রক্ষা করা, সেই সময় অতি নিকটে।’’
তিয়ানশি হাসান খান লিখেছেন, ‘‘বদরের যুদ্ধে জয়ের কারনে ইসলাম আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে আছে এই যুদ্ধে মুসলমানদের পক্ষে ফেরেস্তাগনও যুদ্ধ করেছিলেন .. হে আল্লাহ আপনি বদরি শহিদ সাহাবীদের জান্নাতের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন।’’
বদরের মতো বিজয় কামনা করে কাওছার সরকার লিখেছেন, ‘‘আল্লাহ আপনি বদরের মত আবার একটা বিজয় দান করোন,,,কারন সেই সময় শত্রুরা ছিল চিন্হিত,,এখন আমাদের মধ্যেই মুনাফিকে ভরপুর,,আমাদের ক্ষমা করেন।’’
আতাউর রহমান লিখেছেন, ‘‘ইনশাআল্লাহ আবার কালিমার পতাকা পত পত করে উড়বে এই বিশ্ব জাহানে । বদর যুদ্ধের মত আমরা জয় লাভ করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহু আকবার।’’
ওসমান চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘ওনাদের ঈমান ছিল খাটি তাই আল্লাহর সাহায্য সরাসরি এসেছিল ৷ আমাদের ঈমানকে খাটি করতে পারলে এখনো আল্লাহর সাহায্য সরাসরি আসবে নিঃসন্দেহে ৷’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।