আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোলে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন করিম বেনজেমা।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ ১-১ ড্র হয়েছে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোলে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন করিম বেনজেমা।
প্রতিপক্ষের সাদামাটা ফুটবলের বিপরীতে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে শুরুটা দারুণ করে চেলসি। প্রথম ১৫ মিনিটে একচেটিয়া আক্রমণের মাঝেই গোল আদায় করে নেয় পোর্তোকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা দলটি।
প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি তারা পায় দশম মিনিটে। তবে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের হেডে ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি টিমো ভেরনার। তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
চার মিনিট পর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। মাঝমাঠ থেকে জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারের উঁচু করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেন পুলিসিক। এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নেন যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডার, বল গোললাইনে রাফায়েল ভারানের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
গোল খেয়ে যেন হুঁশ ফেরে রিয়ালের। ধার বাড়ে তাদের আক্রমণে। ২৩তম মিনিটে বেনজেমার দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াচ্ছিল চেলসিও।
জমজমাট লড়াইয়ের ২৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল। ছোট করে নেওয়া কর্নারে মার্সেলো দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান। লাফিয়ে হেড করেন কাসেমিরো, পরের হেডে এদের মিলিতাও খুঁজে নেন বেনজেমাকে। আর ফরাসি এই স্ট্রাইকার জটলার মধ্যে দারুণভাবে হেডে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পোস্টের দিকে না ফিরেই ডান পায়ের ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন।
আসরে বেনজেমার এটি ষষ্ঠ গোল। প্রতিযোগিতাটির গোলদাতাদের তালিকায় মোট ৭১ গোল নিয়ে সাবেক রিয়াল তারকা রাউল গনসালেসের পাশে বসলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মার্সেলোর ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল রিয়াল। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও ভেরনার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এরপরেও মাঝে মধ্যেই তাদের ভুল পাসে নিয়ন্ত্রণ হারানো ছিল দৃষ্টিকটু।
৬৬তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রকে তুলে আজারকে নামান কোচ। সাবেক দলের বিপক্ষে তেমন কিছুই করতে পারেননি চোট কাটিয়ে কদিন আগে ফেরা বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।
শেষ ১৫ মিনিটে বৃষ্টির তেজ বাড়ে, তাতে মিইয়ে যায় ফুটবলের গতি। প্রতিপক্ষের সীমানায় ভীতি ছড়াতেও পারেনি কেউ।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজেদের ইতিহাসের যে দলগুলির বিপক্ষে কখনোই জেতেনি রিয়াল, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে তারা চেলসির বিপক্ষেই।
১৯৭১ সালে কাপ উইনার্স কাপের ফাইনালে প্রথম লেগে ১-১ ড্রয়ের পর দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে হেরেছিল রিয়াল। ১৯৮৮ সালে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালেও চেলসির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল তারা।
এর আগে টুখেলের বিপক্ষে কখনও জিততে পারেননি রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানও। এদিনও বজায় থাকলো সেই ধারা।
আগামী ৬ মে রাতে চেলসির মাঠে দ্বিতীয় লেগে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে রিয়ালকে আতিথ্য দেবে চেলসি।