যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন আমরা দিনগুলো পার করছি এক অজানা আতঙ্কে, অদৃশ্য জীবাণু সংক্রমণের ভীতিকর পরিস্থিতিতে। করোনার এইম হাদুর্যোগে ভাইরাসমুক্ত একমুঠো বিশুদ্ধ বাতাস আর একটু জীবাণুমুক্ত পরিবেশ কে না চায়? আপনি হয়তো করোনাভাইরাস বহন করছেন না। কিন্তু আপনার কাছে যারা নিত্যপ্রয়োজনে আসছেন, তাদের মধ্যে যে কেউ করোনাভাইরাস বহন করে নিয়ে আসতে পারে। সেটা প্রতিরোধের উপায় কি? সেই চিন্তা থেকে দক্ষিন কোরিয়া ও স্পেনের যৌথ উদ্যোগে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ওয়েলিস তৈরি করেছে এমন একটি ডিভাইস যা প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনাসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে নিমিষেই মেরে ফেলতে সক্ষম।
এটা শুধু বাতাস নয়, বস্তুপৃষ্ঠকেও জীবাণুমুক্ত করে, এমনকি এটি মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াও নির্মূল করতে সক্ষম। ইনকিলাবের এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে ওয়েলিস বাংলাদেশের একমাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ওএসএসএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কিছু জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনে আমাদের যেতেই হয় যেমন: মসজিদ, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, হাসপাতাল, শপিংমল , শিল্পকারখানা, থানা, প্রভৃতিস্থানে। এই সকল জনবহুল স্থানে যদি আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকিয়ে রাখতে পারি তাহলে অনেকটা নিরাপদ ও দুঃশ্চিন্তামুক্ত থাকা যায়। তিনি বলেন, যেখানে যেতে আমরা বাধ্য হচ্ছি সেই পরিবেশটাকে নিরাপদ রাখার প্রত্যয় নিয়েই আমরা এই প্রোডাক্টটি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। ওয়েলিসের করোনা ভাইরাসবিনাশী সক্ষমতার ওপর গত ৪ এপ্রিল, ২০২০ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অ্যান্ড সায়েন্স (আইজেওইআর) সাময়িকীতে। স্পেনের বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বখ্যাত ভাইরোলজি বিভাগ এই গবেষণাকর্মটি সম্পাদন করে। তিনি বলেন, বাসা, ব্যাংক, হাসপাতাল কিংবা অফিসের কোনায় কোনায় থাকা সব জীবাণুকে ৯৯.৯৯ভাগ ধ্বংস করতে পারে ওয়েলিস।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক এ এইচ এম জাকারিয়া জানান, এই ঘাতক জীবাণু করোনাভাইরাসের বাহক তো আমরা নিজেরাই। হাঁচি, কাশি, স্পর্শ এমনকি নিশ্বাস থেকেই ছড়িয়ে পড়ে এই প্রাণনাশক জীবাণু। অদৃশ্য এই জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত যে কোনো উপকরণে; যেমন: ধাতব, কাঠ কিংবা প্লাস্টিকের সামগ্রী, পোশাক ইত্যাদি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা; প্রতিনিয়ত আমরা হারাচ্ছি আমাদের আপনজন। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি ওয়েলিস এয়ার অ্যান্ড সারফেস ডিসইনফেকট্যান্ট সলিউশন এর মাধ্যমে কেবল বাতাস নয়, যে কোনো বস্তুর পৃষ্ঠতল, এমনকি আমাদের শ্বাসতন্ত্রও জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হবে।
আমেরিকা ও ইউরোপ সহ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ওয়েলিস ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম এবং এটা সংশ্লিষ্ট দেশগুলো হতে সনদপ্রাপ্ত। চলমান করোনা মহামারিকালে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল, হাসপাতালের আইসিইউ, ব্যাংক, অফিস, কল-কারখানা, শপিংমল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসায় ওয়েলিস ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ব্যাংক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও বাসস্থানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিধনে ওয়েলিস ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই প্রযুক্তির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
১. এই যন্ত্র মানুষের উপস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টাই জীবাণুমুক্ত করতে পারে।
2. ওয়েলিস এ্যাজমা ও এলার্জি প্রশোমনে কার্যকর ।
৩. ওয়েলিস পর্যাপ্ত পরিমানে হাইড্রক্সিল র্যাডিক্যাল উৎপাদন ও নি:স্বরনের মাধ্যমে সেল লাইসিং প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে ভাইরাসের বহিরাবরণ বিনষ্ট করে ভাইরাসকে সম্পূর্ণরুপে ধংস করে। যা আমাদের শরীরের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
4.ওয়েলিসে ব্যয়বহুল কোনো ফিল্টার ও ইউভি লাইট ব্যবহৃত হয় না।
5. ওয়েলিস মানবদেহের জন্য কোন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ (যেমন: ওজোন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ক্লোরিন, ইউভি ইত্যাদি) নিঃসরণ করে না।
6. ওয়েলিস পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো লোকবলের প্রয়োজন হয় না।
7. ওয়েলিস দারুণ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী (৩.৬ওয়াট/ঘণ্টা)।
8. ওয়েলিস আকারে ছোট ও সহজে বহনযোগ্য।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো, করোনা মহামারি প্রতিরোধের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার নিমিত্তে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করা। এই লক্ষ্য অর্জনে লকডাউন ও লকডাউন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হাসপাতাল, শিল্প কারখানা, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিস আদালতসহ যে কোনো জনবহুল কর্মক্ষেত্রে ওয়েলিসের ব্যবহার আমাদের স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ওয়েলিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৯৫৫৫৬০৩২৯, ০১৯৫৫৫৬০৩০৩ এই মুঠোফোন নম্বরে অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করুন : www.wellisbd.com
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।