Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুরিয়ে এলো সময়, সাগরের বুকে ৫৩ প্রাণ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৫৪ এএম

বালি দ্বীপের কাছে নিখোঁজ ইন্দোনেশীয় সাবমেরিনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। অথচ হাতের সময় একেবারে ফুরিয়ে এসেছে। শিগগিরই এর সন্ধান না মিললে সাগরের বুকেই ৫৩ নাবিকের সমাধি হয়েছে ধরে নিতে হবে। অবশ্য সাবমেরিনটি যদি এরই মধ্যে পানির চাপে বিধ্বস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেই আশাটুকুও থাকছে না।

গত বুধবার ইন্দোনেশীয় সাবমেরিন বহরের সঙ্গে টর্পেডো ড্রিল চালাতে গিয়েছিল ৪৪ বছর বয়সী নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি। তবে মিশন আশানুরূপ হয়নি। হঠাৎ যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেটি। এরপর থেকেই শুরু হয় জোর অনুসন্ধান।

সাগরের বুকে সাবমেরিন খুঁজতে ইন্দোনেশিয়া সাহায্য চায় সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার। এতে যোগ দেয় ভারত-মালয়েশিয়াও। সবশেষ এই উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পি-৮ পসেইডন উড়োজাহাজ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, নিখোঁজ সাবমেরিনটি যদি এখনও অক্ষত থাকে তবে এর ভেতর যে অক্সিজেন রয়েছে তাতে শনিবার ভোর পর্যন্ত বাঁচার কথা নাবিকদের।

ইন্দোনেশীয় সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আচমাদ রিয়াদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা এটি খুঁজে পাইনি... তবে যে সরঞ্জাম রয়েছে তাতে [সাবমেরিনের] অবস্থান শনাক্ত হওয়া উচিত।

ইন্দোনেশীয় বিমানবাহিনীর এক পাইলট জানিয়েছেন, প্রায় ছয় টনের যন্ত্রপাতির পাশপাশি ডুবো বেলুন ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। সেগুলো সাবমেরিন টেনে তুলতে সাহায্য করবে।

ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাবমেরিনটি বৈদ্যুতিক ক্ষমতা হারিয়ে গভীরতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার সময় জরুরি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

দেশটির নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ইয়ুদো মার্গোনো বলেছেন, সাগরের ৫০ থেকে ১০০ মিটার গভীরতায় ‘উচ্চ চুম্বকীয় শক্তি’ সম্পন্ন একটি বস্তু ‘ভাসতে’ দেখা গেছে। তাছাড়া সাবমেরিনটিকে সবশেষ দেখতে পাওয়া জায়গায় তেল ভাসতে দেখা গেছে।

ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জুলিয়াস উইজ্জজোনো জানান, ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিতে চালিত সাবমেরিনটি ৫০০ মিটার ( ১ হাজার ৬৪০ ফুট) গভীরতায় টিকে থাকতে পারে, তবে এর নিচে চলে গেলে ফলাফল ভয়ঙ্কর হবে। ভয়ের বিষয় হচ্ছে, বালি সাগরের গভীরতা কিছু কিছু জায়গায় দেড় হাজার মিটারেরও বেশি।

তবে ইন্দোনেশিয়ার একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সাবমেরিনের নাবিকদের এখনও জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটি যদি সাগরের ৭০০ মিটার এলাকায়ও থাকে তবে তাদের বেঁচে থাকা কঠিন। কারণ পানির চাপে ইস্পাতের আবরণে ফাটল ধরতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি



 

Show all comments
  • স্মৃতি আক্তার ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৩ এএম says : 0
    এখনো হদিশ পাইনি?
    Total Reply(0) Reply
  • Jibon ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৩ এএম says : 0
    হে আল্লাহ,তুমি তাদের মৃত্যুকে সহজ করো। তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করো
    Total Reply(0) Reply
  • Liton Shahriar ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৪ এএম says : 0
    রহম করো আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Nozrul Islam ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৪ এএম says : 0
    Allah tader sohid hisabe kobul korun.
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Wadud Choudhury ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৫ এএম says : 0
    ‏أن لله وأنا إليه راجعين
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar+Hossain ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:২৩ এএম says : 0
    হে আল্লাহ, তুমি তাদের রহম করো l
    Total Reply(0) Reply
  • Nisar Ahmed ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৪ পিএম says : 0
    ইয়া আল্লাহ তাদের বাঁচান
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Altaf Hossain ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ২:৫৯ পিএম says : 0
    আল্লাহ আপনি হেফাজত করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shohag ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৫:১৮ পিএম says : 0
    আল্লাহ তাদের হেফাজতে রাখিও
    Total Reply(0) Reply
  • Zubayer Rahaman Emon ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৫ পিএম says : 0
    খবরটা শোনার পর থেকেই অপেক্ষা করছিলো ভালো একটা নিউজ শোনার। দুঃখের বিষয় হলো ক্রু'রা হয়ত আর কেউ ই জীবিত নেই। আর্জেন্টিনা'র সাবমেরিনের মত আরেকটা ঘটনা হয়ত ঘটলো।
    Total Reply(0) Reply
  • Z Rahman ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৫ পিএম says : 0
    খুবই হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা। ঐ সাবমেরিনের ভিতরে যেসব নাবিক অবস্থান করছিলেন জানিনা তাদের পরিবারের আজ কি অবস্থা? আল্লাহ্ তাদের সহায় হোন। গভীর মহাসাগরে ক্ষুদ্র সাবমেরিন শুধু টেকনোলজির একটি নাম। মহান রবের বিশালতার কাছে মানুষের অনেক শিক্ষা রয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Tithi Priya ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৬ পিএম says : 0
    বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক, আমাদের কাছে সুপারপাওয়ার আছে, পারমাণবিক শক্তি আছে, স্যাটেলাইট আছে, আমরা মঙ্গল জয় করেছি এতো কিছু থাকার পরেও পৃথিবীতে আমরা একটি সাবমেরিন খুঁজে পাচ্ছিনা, এতে করেই বুঝা যাচ্ছে প্রকৃতি বা মহান আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টির কাছে আমরা কতটা অসহায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Minhaj ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৬ পিএম says : 0
    রাখে আল্লাহ,মারে কে। এখন ও পুরোপুরি বলা যায় না যে সবাই মারা গেছে।তবে বাস্তবিক একটা ধারণা করতেই পারে,যে কেউ বেঁচে নেই। ইন্নালিল্লাহ। আর সমুদ্রের গভীরে পানির চাপ এত্ত যে লোহাকে গলিয়ে দিতে সক্ষম। তবু ও আশা রাখা যায়।বাকিটা মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের উপর ভরশা। খুবই খারাপ লাগছে। এত্ত উন্নত প্রযুক্তি আমাদের বিশ্বে,কিন্তু তা যেনো একটা সীমার কাছে আবদ্ধ।
    Total Reply(0) Reply
  • Raysa Islam ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৬ পিএম says : 0
    মানুষ হিসেবে আমরা অনেক ক্ষেত্রে এখন অসহায়। খারাপ লাগছে পরিবার গুলোর জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • md. imdad hossain ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৫৩ এএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা সবাই কে হেফাজত করুন আমীন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ