পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : অবকাঠামো নির্মাণ কাজের গুণগত মানসম্পন্ন উপকরণ হওয়ার সুবাদে কক্সবাজারের উখিয়ার বালির চাহিদা রয়েছে প্রচুর। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার অর্ধ শতাধিক বালি সিন্ডিকেট প্রতি মৌসুমে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার বালি বাণিজ্য করলেও সরকার এ খাতে ন্যূনতম রাজস্ব পাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের সরঞ্জামাদিসহ বালি ভর্তি যানবাহন আটক করলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা না হওয়ায় এসব বালু লুটপাটকারী সিন্ডিকেট আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে নির্বিচারে অবৈধ বালি পরিবহনের কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ জনপদ অচল হয়ে পড়ছে একই ভাবে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক বালি মহাল থাকলেও আইনি জটিলতা ও বালি সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে অধিকতর বালি মহাল ইজারা বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে ম্যানেজ করে ঐসব বালি মহাল থেকে নিয়মিত লুটপাটের মাধ্যমে বালি উত্তোলন ও বিপনন অব্যাহত থাকলেও দেখার কেউ নেই।
সরেজমিন, পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, দোছড়ি, হরিণমারা, হিজলিয়া, গয়ালমারা, মরিচ্যা, রাবেতা ও রেজু খালের বিভিন্ন পয়েন্ট সহ ১২টি স্পট থেকে নির্বিচারে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। রুমখাঁ মনির মার্কেট সংলগ্ন রেজু খাল এলাকা ঘুরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২ জন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রতিদিন শত শত শ্রমিক দিয়ে রেজুখাল থেকে বালি উত্তোলন করছে।
স্থানীয় গস্খামবাসী ছৈয়দ আলম, আশরাফ আলীসহ লোকজন জানান, কোন প্রকার ইজারা ছাড়া বালি উত্তোলনের ফলে রেজু খালের ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি মনির মার্কেটসহ কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়ালটি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। থাইনখালী, বালুখালীতেও একই চিত্র। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশেই উত্তোলন করে রাখা হয়েছে হাজার হাজার ফুট বালি। এসব বালি ৭/৮টি ডাম্পার ভর্তি করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছে স্থানীয় সিন্ডিকেট।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান থাইনখালী, বালুখালীর খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়টি থানা ও উপজেলা প্রশাসনে জানানো হলেও বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। স¤প্রতি উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুজ্জামান মোহাম্মদ শিবলী জানান, খালে অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের মেশিন জব্দ করলেও তারা আবারও একই পেশায় নেমে পড়েন। অচিরেই এসব সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।