নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দুদিনও পার হয়নি। অথচ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ভাঙন। ‘বিদ্রোহী’ এই লিগ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে যোগ দেওয়া ইংল্যান্ডের সব ক্লাব।
মঙ্গলবার রাতে এমন সংবাদ দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদেরও সুপার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। জল্পনা-কল্পনা চলছে, দেশটির পরাশক্তি বার্সেলোনাও একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে। ফুটবল এস্পানার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লাব সদস্যদের সমর্থন ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে সুপার লিগে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আনুমোদন করবেন না সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা।
ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, লিভারপুল ও আর্সেলান একে একে সরে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছে বিসিবি। আনুষ্ঠানিকভাবে ফলে সুপার লিগে থাকল কেবল স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ; ইতালির জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
তবে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো সরে দাঁড়ানোয় আদতে ভেস্তে গেল বিদ্রোহী এই লিগের পরিকল্পনা।
মঙ্গলবার রাতে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের বাইরে জড়ো হন প্রায় হাজার খানেক চেলসি সমর্থক। তারা ক্লাবের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। এর পরপরই তারা সরে দাঁড়ানোর আভাসা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ম্যান সিটির নাম প্রত্যাহারের খবর জানা যায়।
গত রবিবার এসেছিল সুপার লিগের ঘোষণা। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ক্লাবের সেখানে অংশ নিতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়। সেগুলো হলো- স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ; ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার এবং ইতালির জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলা হয়, মোট ২০টি দল অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায়। আপাতত ১২টির নাম প্রকাশিত হলেও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য থাকবে ১৫টি ক্লাব। আগের মৌসুমের পারফরম্যান্স বিচারে বাকি পাঁচটি দলকে কোয়ালিফাই করে আসতে হবে।
তবে ফিফা ও উয়েফা সুপার লিগের বিরোধিতা করে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়। তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে সিরি আ, লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগসহ অন্যান্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও লিগ কর্তৃপক্ষ।
উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন পরদিন হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘বিদ্রোহী’ লিগে নাম লেখানো ১২ ক্লাবের সবাইকে তাদের নিজ নিজ লিগ ও চলমান ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি এই লিগে অংশ নেওয়া কোনো ফুটবলার উয়েফা ও ফিফার অধীনে কোনো প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন না।
সেফেরিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। মঙ্গলবারই তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে, ফিফা কোনোভাবেই সুপার লিগকে অনুমোদন দিচ্ছে না। তাদের অনুমোদন দেওয়া অসম্ভব। আর এ ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।