বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুরে যুবলীগ নেতা কাইয়ুম সরকারের দখল থেকে বন বিভাগ তাদের কোটি টাকা মূল্যের এক একর বনভূমি উদ্ধার করেছে। সরকারী বনভূমি দখলকারী ওই যুবলীগ নেতা গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত বনভূমিতে মাছের খামার গড়ে তুলছিলেন যুবলীগ নেতা। মঙ্গলবার সকালে মাছের খামারে ভেকু দিয়ে মাটি ভরাট করে বন বিভাগ।
ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গাজীপুর ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজল তালুকদার ও সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার ঘোষ, ঢাকা বন বিভাগের গাজীপুরের শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা সজীব কুমার মজুমদার, ভাওয়াল ও জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের কর্মকর্তা এবং স্টাফরা। অভিযানে জয়দেবপুর থানা পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে।
ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, ভবানীপুর বিটে ৪ নম্বর বারুইপাড়া মৌজার সিংড়াতলী এলাকায় সিএস-১৮ নম্বর দাগের ১০০, ১০১, ১১১ ও ১৬০ নম্বর আরএস দাগের বনভূমিতে মাটি খনন করে মাছের খামার নির্মাণ কাজ শুরু করেন কাইয়ুম সরকার ও তার লোকজন। পরে প্রাথমিক পর্যায়ে সীমানা নির্ধারণ ব্যতীত পুকুর খনন কাজে বাধা দেন ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা। এতে কর্ণপাত না করে তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে খামার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়।
ভবানীপুর বিটে স্বল্প জনবল এবং বন দখলকারীদের উশৃঙ্খল আচরণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে এবং উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।
সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ জানান, কাইয়ুম সরকার বিগত দিনে বনের জমি দখল করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে ৬টি পুকুর খনন করেন। সম্প্রতি আরও নতুন ৩টি পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। অভিযানের পূর্বে সার্ভেয়ার দিয়ে তার দখলে থাকা এক একর বনভূমি চিহ্নিত করা হয়। পরে উচ্ছেদের প্রথম পর্যায়ে ৫০ শতাংশ বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ রোপণ করা হয়। উদ্ধারকৃত বনভূমির বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত এক কোটি টাকা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা কাইয়ুম সরকার বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করেছি। খামারের পাশে সামান্য খালী জায়গা রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। বনবিভাগ আমাকে কোন প্রকার সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে পুকুর ভরাট করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।