বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীতে রিকশা থেকে এক ছাত্রলীগের সাবেক নেতার শার্টের কলার ধরে নামানোর ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান। তিনি জানান, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ। তার সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ না করায় ঘটনাস্থলে নিয়োজিত এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে শাস্তিমূলকভাবে ফেনী মডেল থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সময় তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অপর দুই পুলিশ সদস্যের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে এক যুবকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় শহরের ট্রাঙ্ক রোডে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে একটি রিকশা থামান মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদার ও পুলিশ সদস্যরা। এ সময় রিকশায় বসে থাকা মাস্কবিহীন এক যুবককে নামতে বলেন। ওই যুবক না নেমে পুলিশের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। তখন পুলিশ মামলার কথা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে যুবক বলেন, এদেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, তাই না।
তর্কের এক পর্যায়ে তার শার্টের কলার ধরে রিকশা থেকে নিচে নামায় পুলিশ। তখন শার্টের কলার ধরা পুলিশ সদস্যকে যুবক বলেন, তুই অন্য রিকশা ছাড়ছিস; আমাকে কেন আটকাইছিস। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন যুবক। এ সময় এক পুলিশ সদস্য যুবককে পাগল বলেন। তখন ওই পুলিশকে যুবক বলেন, তুই আমাকে পাগল বললি কেন? আমি পাগল, না? তুই পাগলের সামনে দাঁড়াইলি কেন?
এ সময় পুলিশের সঙ্গে যুবকের হাতাহাতি লেগে যায়। এক পর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য যুবককে জাপটে ধরেন এবং হ্যান্ডকাফ পরানোর চেষ্টা করেন। হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় যুবক বলেন, মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে হ্যান্ডকাপ পরতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাকে মাটিতে ফেলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই যুবকের নাম মো. শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী।
পুলিশ জানায়, এর আগেও পুলিশকে গালিগালাজ করায় শহরের শহীদ মিনারের সামনে থেকে শহিদকে আটক করা হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন আচরণ করছেন শহিদ।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার জানান, রোববার মডেল স্কুলের সামনে থেকে শহিদকে আটক করা হয়েছিল। তার মানসিক সমস্যা আছে। তাকে আটক করে হাজতে নেওয়ার সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।